Humayun Kabir : অভিষেক বলেছিল রক্তপাতহীন ভোট হবে, হল না, মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে : হুমায়ুন

Panchayat Vote Violence : পঞ্চায়েত ভোটে লাগামহীন সন্ত্রাস নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন IPS অফিসার হুমায়ুন কবীর। এত খুনোখুনি-হিংসার জন্য রাজ্য সরকার, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলিকে আক্রমণ করলেন তিনি।

Advertisement
অভিষেক বলেছিল রক্তপাতহীন ভোট হবে: হুমায়ুন হুমায়ুন কবীর
হাইলাইটস
  • পঞ্চায়েত ভোটে লাগামহীন সন্ত্রাস নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন IPS অফিসার হুমায়ুন কবীর
  • বিস্ফোরক মন্তব্য তাঁর

পঞ্চায়েত ভোটে লাগামহীন সন্ত্রাস নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন IPS অফিসার হুমায়ুন কবীর। এত খুনোখুনি-হিংসার জন্য রাজ্য সরকার, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলিকে আক্রমণ করলেন তিনি। বললেন 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, রক্তপাতহীন পঞ্চায়েত ভোট হবে। তবে হল কোথায় ? বাঙালি হিসেবে মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে।' 

হুমায়ুন কবীর bangla.aajtak.in-কে বলেন, 'আমি তো ডেবরাতে ছিলাম। সারাদিন সেভাবে খবর পাইনি। তবে রাতে ফিরে জানতে পারি এত খুন ও সন্ত্রাসের কথা। শুনে আঁতকে উঠি। কী হচ্ছে এসব? বাঙালি হিসেবে মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন সন্ত্রাসহীন ভোট হবে। রক্তপাতহীন ভোট হবে। তবে হল কোথায়?' 

ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের কথায়, 'এই লাগামহীন সন্ত্রাসের জন্য কোনও একজন দায়ী নয়। প্রতিটা রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ দায়ী। কারণ, পুলিশ বা প্রশাসন যদি আগে থেকে সক্রিয় থাকত, তাহলে এই হিংসা এড়ানো যেত। পুলিশের কাছে সব খবর থাকে। তারা কেন আগে থেকে কোনও পদক্ষেপ করল না ? সেই প্রশ্নও থেকে যাচ্ছে।' 

 তিনি আরও বলেন, 'বামফ্রন্ট আমলে ২০০৮ সালে মুর্শিদাবাদে যে ভোট হয়েছিল, সেখানে ১৭ জন মারা যান। সেই জেলায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গোটা রাজ্যে ৫২ জন নিহত হয়েছিলেন। তাতে আমরা খুব অবাক হয়েছিলাম। তারপর আমরা ভেবেছিলাম, হয়তো আমরা অনেকটা এগিয়ে গিয়েছি। মানুষ বুঝতে শিখেছে। প্রশাসন কঠোর হয়েছে। কিন্তু কাল যে দৃশ্য দেখলাম তাতে আমি মর্মাহত। যাদের গেল তাদের তো গেল। কেউ স্বামীকে হারাল, কেউ বাবাকে। ভাবতেই পারছি না।' 

হুমায়ুন কবীরের আরও দাবি, ভোটে যে হিংসা তার ফলে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, 'অশিক্ষা হল প্রধান কারণ। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন একে অপরের সঙ্গে লড়াই করছেন। তাঁরাই মারছেন ও মরছেন। আর রাজনৈতির দলগুলির দ্বারা তাঁরা ব্যবহৃতও হচ্ছেন। এটা কাঙ্খিত নয়। পশ্চিমবঙ্গে যেহেতু সংখ্যালঘুরা এখনও অনেকটা পিছিয়ে তাই হয়তো তাঁরা নিজেদের ভালো-মন্দ বুঝতে পারছেন না। সামান্য একটু স্বচ্ছলতা বা স্বাচ্ছ্বন্দ্যের জন্য এঁরা কাজ করছে রাজনৈতিক দলগুলির জন্য।'

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোট গ্রহণ শনিবার সম্পন্ন হওয়ার পর ইতিমধ্যেই ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হয়েছে। তাই নিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, 'এখন থেকেই পুলিশকে সচেতন হতে হবে। তা না হলে আরও বিপদ ঘনিয়ে আসছে। যা রাজ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। পুলিশকে আরও কড়া হতে হবে। প্রাক্তন পুলিশ অফিসার হিসেবে আমি জানি, থানার কাছে আগাম খবর থাকে কোথায় কোথায় ঝামেলা-সংঘর্ষ হতে পারে। পুলিশকে সেই মতো সচেতন হতে হবে। সেই সব এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। কোনও অশান্তির খবর পেলে পুলিশকে বসে থাকলে চলবে না। অ্যাকশন নিতেই হবে। পুলিশের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ক্যাজুয়াল হলে চলবে না। পুলিশকে কড়া হতে হবে। তাহলে মারামারির সাহস পাবে না দুবৃত্তরা।'  


 

 

POST A COMMENT
Advertisement