পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হল। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়েছে আজ। তাঁর নাম মনসুর আলম। এনিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হল। ১৫ জুন মনোনয়ন পর্বের শেষদিনে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ২৩ বছরের মনসুর। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছিল। তাঁকে প্রথমে স্থানীয় ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ক্রমেই তাঁর অবস্থা গুরুতর আকার নিচ্ছিল। যমে-মানুষে টানাটানির পরে আজ বুধবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
১৫ জুন পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা করার শেষ দিনে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া এলাকা। বাম- কংগ্রেস জোটের মিছিলে গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হন মোট ৩ জন। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় ওইদিনই। বাকি দুজনের চিকিৎসা চলছিল। আজ তাঁদের মধ্যে মনসুরেরও মৃত্যু হয়েছে। ফলে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল দুই।
এদিকে, হামলা ও গুলি চালনার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। একই কথা শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও। চোপড়া এবং ইসলামপুরে হিংসার ঘটনা নিয়ে ওইদিনই তিনি বলেন, 'ইসলামপুর ও চোপড়ার ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই যুক্ত নয়। যারা করেছে তাদের টিকিট দিইনি। মনে রাখবেন, তারা গতকাল পর্যন্ত টিকিট চেয়েছিল। তাদের কার্যকলাপে সন্তুষ্ট নয় বলে টিকিট দিইনি। ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা দেখে মনোনয়ন দিয়েছি। চোপড়ায় নিজেদের মধ্যে ঘটনা ঘটেছে। দল যুক্ত নয়। কড়া পদক্ষেপ করতে বলেছি পুলিশকে।'