সংবিধানে সবার অধিকার রয়েছে। তা লঙ্ঘিত হলে আমি হস্তক্ষেপ করব। গণতন্ত্রে ভীতির কোনও জায়গা নেই। সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট নিশ্চিত করতে হবে। শনিবার ক্যানিংয়ের হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে এই বার্তাই দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
শুক্রবার ভাঙড়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার ক্যানিংয়ে ভোট-হিংসার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলেন। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ক্যানিং পৌঁছন। ক্যানিংয়ে পৌঁছেই সেচ দফতরের একটি ভবনে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে সারেন। বৈঠকে ছিলেন প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্তারা। হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতেও যান। বুধবার ক্যানিংয়ের হাসপাতাল মোড় শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল। সেখানে যান রাজ্যপাল। বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা তাঁকে হাতের কাছে পেয়ে অভিযোগ জানান। তাঁরা রাজ্যপালকে জানিয়েছেন,মনোনয়ন পেশ করতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের গুন্ডারা বাধা দিয়েছে। রাজ্যপাল সকলের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং অভিযোগ শুনেছেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন,'সংবিধানে সাধারণ মানুষকে অধিকার দেওয়া হয়েছে। অধিকার লঙ্ঘিত হলে আমি হস্তক্ষেপ করব। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কয়েকটি জায়গায় গণতন্ত্র দেখিনি। শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা যা করার তা করা দরকার।' এরপই রবীন্দ্রনাথের 'চিত্ত যেথা ভয়শূন্য...' কবিতা আউড়ে রাজ্যপালের আশ্বাস,'আমি বাংলার মানুষের পাশে আছি। ভয়হীনভাবে তাঁরা যেন ভোট দিতে পারে, তা নিশ্চিত করব।'
রাজ্যপালের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়,'বিজেপি কর্মীর মতো আচরণ করছেন রাজ্যপাল। ওঁর পদকে সম্মান করি, তবে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস আর আইএসএফ-র অভিযোগকে সত্যি প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করলে আমরা বিরোধিতা করব।'
রাজ্যপালের ক্যানিং সফর নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও তোপ দেগেছেন। তাঁর কথায়,'রাজ্যপাল কি রাজনৈতিক এজেন্ট? শুভেন্দু অধিকারীর ভয়ে যাচ্ছেন! ট্রেন দুর্ঘটনায় যাঁরা মারা গিয়েছেন, উনি তাঁদের পরিবারের কাছে যাননি কেন? তৃণমূলের কেউ মারা গেলে তো যান না!'