মুখ্যমন্ত্রী বলছেন,'আসল ঘটনা ঘটেছে দুটো জেলায়। তার জন্য আপনারা ২৩টি জেলার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। হিংসা হিংসা করে আপনারা সারা ভারতবর্ষে আমাদের বদনাম করলেন।' পঞ্চায়েতে লাগামছাড়া হিংসা নিয়ে নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই সরব হচ্ছেন নেতা-মন্ত্রীরা। এক কদম এগিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রবীণ নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন।
হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরকারের উল্টো কথা শোনা গিয়েছে তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ, হুমায়ুন কবীর, মদন মিত্র ও বাবুল সুপ্রিয়র। এবার পঞ্চায়েত-হিংসা নিয়ে সরব হলেন প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন,'আমি হিংসার তীব্র বিরোধী। আমিও পঞ্চায়েত ভোট করেছি, কিন্তু রিগিং করতে দিইনি। আমি মানুষের রায়ে জিতব, জোর করে জিতে লাভ কী? এটা অর্নির্দিষ্টকাল চলতে পারে না।'
হিংসা না করেও সহজেই তৃণমূল জিতত বলেও মনে করেন শোভনদেব। তৃণমূল বিধায়কের মতে,'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা কাজ করেছেন, তাতে হাজার চেষ্টা করেও তৃণমূলকে হারানো যাবে না। আমাদের রুখে দেওয়ার জন্য অনেকরকম চেষ্টা করা হয়েছে।' এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।
২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। তার পর ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির চমকপ্রদ উত্থান। ১৮টি আসন পেয়েছিল তারা। এবারও পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি এড়ানো গেল না। ভোটের দিনই মৃত্যু হয়েছিল ১৯ জনের। এমনকি ফলপ্রকাশের পরেও ভাঙড়ে বোমা, গুলি চলে। এহেন পরিস্থিতিতে শাসক দলের অন্দরে হিংসার বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন অনেকে। এর মাঝে শোভনদেবের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ শোভনদেব তৃণমূলের প্রথম বিধায়ক। বর্ষীয়ান এই নেতা ভবানীপুরে নিজের জেতা আসন মমতাকে ছেড়ে দিয়েছিলেন ২০২১ সালে। কারণ নন্দীগ্রামে হারের পর মুখ্যমন্ত্রিত্ব ধরে রাখতে ৬ মাসের মধ্যে জিতে আসতে হত মমতাকে।