হস্তরেখা (Palmistry) বিচারের ক্ষেত্রে জীবনরেখাকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দেওয়া হয়েছে । জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়, যে জাতকের হাতে জীবনরেখার অস্তিত্ব নেই, সেই জাতক ব্যক্তি বৈশিষ্ট্য, জীবনশক্তি, পেশীশক্তি বিহীন। জীবনরেখা থেকে আয়ু বিচার করা হয়। সেই কারণে চলতি কথায় এই রেখাকে আয়ুরেখাও বলা হয়।
জীবন রেখা একজন ব্যক্তির জীবনের সূচক। ব্যক্তি কতবছর পর্যন্ত বাঁচবেন এবং তার জীবন কেমন হবে, জীবনরেখা থেকে অনেক কিছু জানা যাবে। জীবনরেখায় পাওয়া লক্ষণগুলি জীবনরেখার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। জীবনরেখার গঠন, তার উপর তৈরি করা চিহ্ন এবং এর প্রকৃতিও একজন ব্যক্তির জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।
হস্তরেখা বিজ্ঞান অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তির হাতে জীবনরেখা দীর্ঘ এবং গভীর হয় তবে তার দীর্ঘায়ু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমন ব্যক্তি একশ বছর বয়সও অতিক্রম করতে পারেন। যদি কোনও ব্যক্তির জীবনরেখা ভাঙা থাকে , তবে এটি নির্দেশ করে যে ওই ব্যক্তি অসুস্থ হতে পারেন বা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গভীর লাল রঙের আয়ু রেখাযুক্ত ব্যক্তি রাগী প্রকৃতির। যদি মঙ্গল পর্বত হাতে উঁচু হয়, তাহলে এমন ব্যক্তি খুব রাগী হন। এমন ব্যক্তি কখনও কখনও রাগে খুনও করতে পারেন।
যদি জীবনরেখা থেকে একাধিক শাখা বের হয়ে বুধের পর্বতের দিকে যায়, তাহলে এটি ব্যক্তির ব্যবসায় উন্নতির লক্ষণ। এই ধরনের মানুষ ব্যবসায়ে অনেক ওপরে ওঠেন।
হস্তশাস্ত্র অনুসারে, হালকা জীবনরেখা একজন ব্যক্তির খারাপ স্বাস্থ্য এবং দুর্ঘটনা নির্দেশ করে। যদি জীবনরেখা সংক্ষিপ্ত হয় তাহলে এর অর্থ সংক্ষিপ্ত জীবন। কিন্তু ছোট জীবনরেখার সঙ্গে যদি শক্তিশালী ভাগ্য এবং হৃদয়রেখা থাকে কাহলে বয়স প্রভাবিত হবে না। এমন ব্যক্তি দীর্ঘ জীবন লাভ করতে পারেন।