মঙ্গলবার দেশজুড়ে ধুমধামের সঙ্গে পালিত হয়েছে মহাশিবরাত্রি উৎসব ও ব্রত। বলা হয়, ভগবান শিবের আরাধনা করলে মানুষের সব ইচ্ছা পূরণ হয়। শিবের কৃপায় সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যদিও ভগবান শিব, যিনি সহজেই প্রসন্ন হন, প্রত্যেক ভক্তের সঙ্কট দূর করেন, কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্রে এমন কিছু রাশির কথা বলা হয়েছে, যাদের প্রতি সবসময়ই মহাদেবের আশীর্বাদ বর্ষিত হয় । চলুন সেই রাশিগুলি সম্পর্কে জানা যাক।
মেষ (Aries): মেষ রাশির শাসক গ্রহ মঙ্গল। মঙ্গলকে ভগবান শিবের অংশ বলে মনে করা হয়। পৌরাণিক কথা অনুসারে, অসুরের সাথে লড়াই করার সময় ভগবান শিবের এক ফোঁটা ঘাম পৃথিবীতে পড়লে মঙ্গল দেবের জন্ম হয়। মঙ্গল দেব খুব তাড়াতাড়ি রেগে যান, এর পিছনে কারণ হিসাবে বিশ্বাস করা হয় যে, অসুরের সঙ্গে লড়াই করার সময় শিব রেগে গিয়েছিলেন, সেই কারণে মঙ্গল দেবও খুব তাড়াতাড়ি রেগে যান। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শিবকে মেষ রাশির জাতকরা পদ্ধতিগতভাবে পুজো করে এবং শিবলিঙ্গে জলাভিষেক করেন তাহলে তাদের জীবনের সমস্ত ঝামেলা ও বাধার অবসান হয়। গঙ্গাজল ও গরুর দুধ দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করলে কর্মজীবনে সাফল্য আসে।
বৃশ্চিক (Scorpio): মেষ রাশির মতোই বৃশ্চিক রাশির অধিপতিও মঙ্গল। তাই এই রাশির জাতকদের প্রতি শিবের বিশেষ আশীর্বাদ রয়েছে। বৃশ্চিক রাশির জাতক জাতিকারা শিবলিঙ্গের পুজো করলে ভোলে বাবার কৃপায় তাদের সমস্ত ঝামেলা দূর হওয়ার পাশাপাশি সব ধরনের ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মকর (Capricorn): মকর রাশিও ভগবান শিবের প্রিয় রাশিগুলির মধ্যে একটি। এই রাশির অধিপতি হলেন শনিদেব, যিনি শিবের প্রিয় ভক্ত। তাই মকর রাশির জাতকদের প্রতিও শিব সদয় থাকেন। এই রাশির জাতক জাতিকারা যদি বেলপাতা, গঙ্গাজল, গরুর দুধ দিয়ে ভগবান শিবের আরাধনা করেন তাহলে তাদের কষ্ট দূর হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজে সাফল্যও আসে।
কুম্ভ রাশি (Aquarius): মকর রাশির মতো কুম্ভ রাশির অধিপতিও শনিদেব। তাই কুম্ভ রাশির মানুষদেরও শিবের বিশেষ কৃপা থাকে। কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকারা খুব সহজেই শিবের পুজো করে তাঁকে খুশি করতে পারেন। কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকাদের শিবলিঙ্গে জল নিবেদনের পাশাপাশি সামর্থ্য অনুযায়ী দান করা উচিত, ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী দান করলে বহুগুণ ফল পাওয়া যায়।