যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানের আগে গণেশ পুজো করা হয়ে থাকে। অনুষ্ঠান, উৎসব যা-ই হোক না-কেন, সেখানে সবার আগে গণেশ পুজো করা হয়ে থাকে। বিঘ্নহর্তা গণেশের পুজো করলে ব্যক্তির জীবন সুখ-সমৃদ্ধি, ধন-ধান্য ও বৈভবে ভরে যায়। বুধবারের দিনটাকে গণেশের দিন বলে মনে করা হয়। বিঘ্নহর্তা গণেশ কিছু রাশির ওপর তার কৃপাদৃষ্টি দিয়ে থাকেন। আসুন সেই সেই রাশিদের কথা জেনে নিই।
মেষ রাশি
ভগবান শ্রী গণেশ মেষ রাশির খুবই প্রিয়। এই রাশির জাতকের জীবনে সবসময়ই গণেশজির কৃপা থাকে। এঁরা গণেশজির কৃপায় খুব বুদ্ধিমান হন। তাঁদের কোনও কাজে বাধা আসে না। কঠিন থেকে কঠিনতম পরিস্থিতিতে ধৈর্য্য রাখেন তাঁরা। বুদ্ধিমান হওয়ার কারণে এঁরা সব ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। শুভ ফল প্রাপ্তির জন্য প্রত্যেক বুধবার গণেশ বন্দনা করা উচিত।
মিথুন রাশি
ভগবান গণেশ মিথুন রাশির অধিপতিও। গণেশজির কৃপায় এই রাশির জাতকদের কেরিয়ারে সফলতা আসে। ব্যবসা ও শিক্ষাক্ষেত্রে সফলতা পান এই রাশির জাতকেরা। এই মানুষেরা খুব সহজেই যে কোনও কাউকে প্রভাবিত করতে পারেন। যদি মিথুন রাশির জাতকেরা চান যে গণপতি বাপ্পার আশীর্বাদ সর্বদা তাঁদের ওপর থাকুক তাহলে গণেশজিকে গাঁদা ফুল বা তার মালা অর্পণ করুন। ভোগে বেসনের লাড্ডু দিন।
মকর রাশি
ভগবান শ্রী গণেশের তৃতীয় প্রিয় রাশি হল মকর রাশি। এই রাশির লোকেরা কঠোর পরিশ্রমী এবং সততার সঙ্গে তাঁদের কাজ করে। অন্যকে ঠকান না। ভগবান গণেশের কৃপায়, এই রাশির জাতক জাতিকারা একবার কোনও কাজ হাতে নিলে, তা শেষ করার পরই দম ফেলেন। পরাজয় মেনে নেওয়া তাদের প্রবণতা নয়। এই বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে তাঁরা তাঁদের কর্মজীবনে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করে। তাঁদের যশ-খ্যাতি বাড়ে। এই রাশির জাতক জাতিকাদের বুধবার গণেশ মন্দিরে যাওয়া উচিত। বাপ্পার সামনে গণেশ চল্লিসা পাঠ করুন।
কন্যা রাশি
জ্যোতিষ অনুযায়ী কন্যা রাশির জাতকদের ওপর গণেশের বিশেষ আশীর্বাদ থাকে। বুধ এই রাশির অধিপতি গ্রহ। বুধের প্রভাবে কন্যা রাশির জাতকরা বুদ্ধিমান ও ভাগ্যবান হয় হয়ে থাকেন। তাঁদের ওপর সর্বদা গণেশে কৃপাদৃষ্টি থাকে। নিজের বুদ্ধির জোরে জীবনে প্রচুর উন্নতি করতে পারেন এই রাশির জাতক। কন্যা রাশির জাতকদের ওপর গণেশের বিশেষ আশীর্বাদ থাকায় তাঁদের কাজে খুব কম বাধা আসে। জীবনে সহজে সাফল্যেৎ শীর্ষে পৌঁছান এই রাশির জাতকেরা।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)