মাইনে বাড়বে চড়চড়িয়ে, মিটবে দেনা; লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে এই কাজ করুন Fortune Laxmi Sign: হিন্দু ধর্মে দেবী লক্ষ্মীকে সুখ, সমৃদ্ধি, সৌভাগ্য ও ধনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবে মানা হয়। বিশ্বাস করা হয়, যে ঘরে মা লক্ষ্মীর কৃপা থাকে, সেখানে কখনও অভাব স্থায়ী হয় না। বাস্তুশাস্ত্র ও পুরাণ মতে, ঘরের কিছু বিশেষ লক্ষণ থেকেই বোঝা যায়, সেখানে লক্ষ্মীর বাস হয়েছে কি না।
শাস্ত্র মতে, এই ধরনের শুভ সংকেত কখনওই অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ এগুলি জীবনে আর্থিক উন্নতি, মানসিক শান্তি এবং সৌভাগ্য বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
প্রথম লক্ষণ হল শঙ্খধ্বনি। যদি ভোরবেলা বা হঠাৎ করেই কানে শঙ্খের মধুর শব্দ আসে, তবে তা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। শঙ্খকে পবিত্রতা ও শক্তির প্রতীক বলা হয়। শাস্ত্রে শঙ্খকে দেবী লক্ষ্মীর ভ্রাতা হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হল ঝাঁটা। শাস্ত্র অনুযায়ী, ঝাঁটাও মা লক্ষ্মীর প্রতীক। তাই ঝাঁটাকে অসম্মান করা নিষেধ। বলা হয়, সকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় যদি কাউকে ঝাঁটা দিতে দেখেন, তবে তা লক্ষ্মীর কৃপা আসার ইঙ্গিত।
তৃতীয় লক্ষণ দেখা যায় খাদ্যাভ্যাসে। হঠাৎ যদি মদ্যপান, ডিম-মাংসের প্রতি অনীহা তৈরি হয় এবং খাবার নষ্ট না করার অভ্যাস গড়ে ওঠে, তবে তা ঘরে পবিত্রতা বৃদ্ধির লক্ষণ। শাস্ত্র মতে, এই পরিবর্তনও মা লক্ষ্মীর উপস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।
চতুর্থ লক্ষণ হল পেঁচার দর্শন। পেঁচাকে দেবী লক্ষ্মীর বাহন বলা হয়। সন্ধ্যার সময় বা কোনও শুভ কাজের আগে যদি পেঁচা দেখা যায়, তবে তা অত্যন্ত শুভ সংকেত। এটি ধনলাভ ও ভাগ্যোন্নতির লক্ষণ হিসেবেও ধরা হয়।
পঞ্চম এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হল তুলসী গাছ। যদি ঘরের তুলসী হঠাৎ সবুজ ও সতেজ হয়ে ওঠে, তবে তা দেবী লক্ষ্মীর প্রসন্নতার ইঙ্গিত। তুলসী ভালো থাকলে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ও ধনের আগমন বাড়ে বলে বিশ্বাস।
শাস্ত্র মতে, প্রতিদিন সকালে তুলসী গাছে জল দেওয়া এবং সন্ধ্যায় তার সামনে প্রদীপ জ্বালানো উচিত। এতে ঘরে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মা লক্ষ্মীর কৃপা স্থায়ী হয়।