জ্যোতিষশাস্ত্রে দেবগুরু বৃহস্পতির বিশেষ স্থান রয়েছে। দেবগুরু বৃহস্পতির কৃপায় সৌভাগ্য আসে। দেবগুরু বৃহস্পতিকে জ্ঞান, শিক্ষা, সন্তান, ধর্মীয় কাজ, সম্পদ, দান, পুণ্য ও উন্নতির কারক বলা হয়। ২৭টি নক্ষত্রের মধ্যে বৃহস্পতি হল পুনর্বাসু, বিশাখা এবং পূর্বা ভাদ্রপদ নক্ষত্রের অধিপতি। দেবগুরু বৃহস্পতি ২২ এপ্রিল মেষ রাশিতে প্রবেশ করেছেন। ২০২৩ সালে মেষ রাশিতেই থাকবেন। জ্যোতিষশাস্ত্রের হিসাব অনুযায়ী, মেষ রাশিতে অবস্থান করায় কয়েকটি রাশির উপরে সদয় হয়েছেন দেবগুরু। ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত সময়টি এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য খুব শুভ হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ কোন কোন রাশিকে দেবগুরু আশীর্বাদ করবেন-
মেষ- ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থ-লাভ হবে মেষ রাশির। যে কারণে অর্থনৈতিক দিক মজবুত হবে। ব্যবসায় লাভের সম্ভাবনা। পরিজনদের সাহায্য করতে পারেন। সাহস ও শক্তি বৃদ্ধি পাবে। সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন। কাজে সাফল্যের সম্ভাবনা রয়েছে। ভাগ্য আপনার সঙ্গে থাকবে। চাকরি ও ব্যবসার জন্য সময়টি শুভ হবে। আপনার কাজ প্রশংসিত হবে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ আসবে। দাম্পত্য জীবনে সুখ অনুভব করবেন। পরিবারে আকস্মিক সুখবর পেতে পারেন।
মিথুন- চাকরি ও ব্যবসার জন্য সময়টি শুভ। কাজে সাফল্য আসবে। সম্মান পাবে। শুভ ফল পাবেন। দাম্পত্য জীবন সুখের হবে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাবেন। যাঁরা চাকরি খুঁজছেন তাঁরা সুখবর পেতে পারেন। পদোন্নতি বা আর্থিক লাভের সম্ভাবনাও থাকবে। নতুন কোনও কাজ শুরু করার জন্য এটা দারুণ সময়। এই সময়টা আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়। লেনদেনের জন্য সময়টি শুভ।
সিংহ- এই সময় পারিবারিক সম্পর্কের মাধুর্য বাড়বে। যাঁরা চাকরি খুঁজছেন তাঁরা শুভ ফল পেতে পারেন। আত্মবিশ্বাস বাড়বে। দাম্পত্য জীবন সুখের হবে। অর্থলাভ হবে। অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী হবেন। অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে সাফল্য আসবে। সমাজে সম্মান বাড়বে। পদ-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাবে। বিনিয়োগ থেকে লাভবান হবে।
ধনু- এই সময়ে আপনি চাকরি এবং ব্যবসায় শুভ ফল পাবেন। চাকরিতে পদোন্নতির সম্ভাবনা। খরচ নিয়ন্ত্রণ করুন। পারিবারিক জীবন সুখের হবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও আপনার জন্য বছরের বাকি সময়টা শুভ। এই সময়ে আপনি শত্রুদের উপর জয়ী হবেন। কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন। অর্থনৈতিক অবস্থা আগের থেকে মজবুত হবে। স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। সুখের হবে দাম্পত্য জীবন।