Hanuman Jayanti 2024: রামভক্ত হনুমানকে বলা হয় সংকটমোচন। হনুমানজি তাঁর ভক্তদের সকল ভয় ও বেদনা থেকে মুক্ত রাখেন। আসলে হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে হনুমানজির জন্ম হয়েছিল। তাই প্রতি বছর চৈত্র পূর্ণিমায় হনুমান জয়ন্তী পালিত হয়। এই বছর হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে একটি অদ্ভূত সংযোগের ঘটনা ঘটছে। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, হনুমানজি ভগবান শিবের অবতার এবং তিনি ত্রেতাযুগে ভগবান শ্রী রামকে সাহায্য করার জন্য এই অবতার গ্রহণ করেছিলেন। বৈদিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, এই বছর চৈত্র শুক্লা পূর্ণিমা তিথি ২৩ এপ্রিল ৩:২৫ মিনিটে শুরু হবে।
হনুমান জয়ন্তী ২০২৪-এ অদ্ভূত সংযোগের ঘটনা
কথিত আছে যে যখন হনুমানজির জন্ম হয়েছিল, তখন ছিল মঙ্গলবার। এ বছরও মঙ্গলবার হনুমান জয়ন্তীর দিন। তাই, মঙ্গলবার হনুমানজির জন্ম হওয়ার কারণে, বেশিরভাগ লোকেরা ওই দিন ব্রত করেন এবং বজরঙ্গবলির পুজোও করেন। ২৩ এপ্রিল চিত্রা নক্ষত্র ও বজ্র যোগ রয়েছে। বজ্র যোগ ২৪ এপ্রিল সকাল ৪:৫৭ মিনিট পর্যন্ত রয়েছে। চিত্রা নক্ষত্রও সকাল থেকে রাত ১০.৩২ পর্যন্ত রয়েছে, তার পরে রয়েছে স্বাতী নক্ষত্র।
হনুমান জয়ন্তী ২০২৪-এর শুভ সময়
হনুমান জয়ন্তীর শুভ সময় সকাল ৪:২০ মিনিটে থেকে ৫:০৪ মিনিট পর্যন্ত। এই বছর, অভিজিৎ মুহুর্তা বেলা ১১:৫৩ থেকে দুপুর ১২:৪৬ মিনিট পর্যন্ত। সেই দিন, আপনি সকাল ৯:০৩ থেকে ১০:৪১-এর মধ্যে হনুমানজির পুজো করতে পারেন। ওইদিন লাভ ও অগ্রগতির শুভ সময় সকাল ১০.৪১ থেকে দুপুর ১২.২০ পর্যন্ত। যেখানে অমৃত-সর্বত্তম মুহুর্ত দুপুর ১২.২০ থেকে বেলা ১.৫৮ পর্যন্ত।
হনুমানজিকে খুশি করার উপায়
হনুমানজিকে সমস্যা-নিবারক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হনুমানজি, রামের ভক্ত এবং ভগবান শিবের অবতার, সমস্ত দেব-দেবীদের মধ্যে সবচেয়ে সহজে প্রসন্ন হওয়া দেবতা। মঙ্গলবার ভগবান হনুমানের উপাসনা ও ব্রতর জন্য শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে বিবেচিত হন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, জীবনে যখনই কোনো বড় সমস্যা আসে বা কোনো গ্রহগত ত্রুটি দেখা দেয়, তখনই শুদ্ধ মনে হনুমানজিকে স্মরণ করলে সব ধরনের বাধা দূর হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে গ্রহগুলিকে আপনার অনুকূলে আনতে হনুমন্তের পুজো অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করা হয়। এছাড়াও, চারটি রাশি হনুমানজির খুব প্রিয়। যার কারণে হনুমানজি সর্বদা এই ৪ রাশির লোকদের ঝামেলা থেকে রক্ষা করেন এবং তাদের সমস্ত ইচ্ছা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পূরণ করেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক হনুমানজি প্রিয় সেই ৪ রাশি সম্পর্কে।
হনুমানজির প্রিয় রাশি
মেষ রাশি (Aries)
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে মেষ রাশির জাতক জাতিকারা অত্যন্ত সাহসী, আত্মত্যাগী, বুদ্ধিমান এবং সত্য মনের হন। মেষ রাশি ভগবান হনুমানের অন্যতম প্রিয় রাশি। হনুমা জি সর্বদা এই রাশির জাতকদের উপর তাঁর আশীর্বাদ রাখেন। রামভক্ত হনুমান তাৎক্ষণিকভাবে তাদের জীবনে আসা সব ধরনের সমস্যা দূর করে দেন। এই রাশির জাতক জাতিকাদের জীবনে কখনোই অর্থের অভাব হয় না।
সিংহ রাশি (Leo)
এই রাশির জাতকরা সর্বদা ভগবান হনুমানের বিশেষ আশীর্বাদ পান। সিংহ রাশি হনুমানজির প্রিয় রাশিগুলির মধ্যে একটি। সিংহ রাশির জাতক জাতিকারা খুব ধার্মিক প্রকৃতির হন এবং সবসময় অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকেন। এই রাশির জাতক জাতিকারা সর্বদা সত্য চিত্তে হনুমানজির পূজা করেন। হনুমানজি তাদের পথে আসা সকল প্রকার বাধা ও প্রতিবন্ধকতা অবিলম্বে দূর করে দেন। এই রাশির জাতকরা তাদের বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতার সাহায্যে অঢেল সম্পদের মালিক হন।
বৃশ্চিক রাশি (Scorpio)
বৃশ্চিক রাশির জাতকদের ওপরও ভগবান হনুমানের আশীর্বাদ রয়েছে, যার কারণে তাদের জীবনে কখনও ধন-সম্পদ ও আরাম-আয়েশের অভাব হয় না। এই রাশির জাতক জাতিকারা ভালো চাকরি, পদ ও প্রতিপত্তি এবং ব্যবসায় ভালো লাভ পেতে পারেন। তারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুখ, সমৃদ্ধি এবং খ্যাতি পান। জীবনে বিলাসিতা এবং আরামের অভাব থাকে না।
কুম্ভ রাশি (Aquarius)
কুম্ভ রাশিও হনুমানজির অন্যতম প্রিয় রাশি। কুম্ভ রাশির অধিপতি হলেন শনিদেব। যে ভক্ত নিয়মিত হনুমানজির পুজো করেন তিনি হনুমানজির সঙ্গে শনিদেবের আশীর্বাদ পান। এমন মানুষদের জীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরপুর থাকে। ভাগ্য আপনাকে ভাল সাহায্য করবে, সম্মান বাড়বে।
(Disclaimer: এখানে প্রদত্ত তথ্য সাধারণ বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা বিষয়টি নিশ্চিত করে না।)