বৃহস্পতিবার জামাইষষ্ঠী। জামাইকে বাড়ি ডেকে আপ্যায়ন করেন শ্বশুর-শাশুড়িরা। জামাইয়ের মঙ্গল কামনায় ষষ্ঠীর আরাধনা করেন। বাংলায় জামাইবাবাজিদের জন্য এটা দারুণ একটা দিন। বিবাহ শুধুমাত্র নারী-পুরুষের সম্পর্ক নয়। বরং দুটি পরিবারের বন্ধন। যাঁর উপরে নির্ভর করে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে জামাইয়ের রসায়ন। বৈবাহিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলে জামাইয়ের সঙ্গে শ্বশুর-শাশুড়ির সম্পর্ক। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, শাশুড়ির সঙ্গে জামাইয়ের সুসম্পর্ক থাকলে মেয়ের দাম্পত্য সুখের হয়। এক্ষেত্রে রাশিরও রয়েছে বড় অবদান। এমন চারটি রাশির জামাই রয়েছে যাঁদের ব্যবহারে মুগ্ধ হন শাশুড়িরা। শ্বশুরবাড়ির মন জয় করে এই রাশিগুলির জামাইরা।
বৃষ- বৃষ রাশির জাতক-জাতিকারা আনন্দে থাকতে ভালবাসেন। তাঁরা স্বভাবে হাসমুখ হন। ফলে শাশুড়ির সঙ্গে দারুণ রসায়ন তৈরি হয় তাঁদের। বৃষ রাশির জামাইরা খুব ভালো ব্যবহার করেন। এটা কিন্তু তাঁদের মেকি নয়। মন থেকেই তাঁরা আনন্দে থাকতে পারেন। এজন্য ভাল জামাই হন। এই রাশির জাতকরা সম্পর্কে মান দিতে জানেন। সম্পর্ক মজবুত করতে তাঁরা চেষ্টার ত্রুটি রাখেন না। বিনয়ী আচরণ করেন। অন্যদের বোঝার চেষ্টা করেন তাঁরা। সে কারণে শাশুড়ির প্রিয় পাত্র হন এই রাশির জাতকরা।
কর্কট- কর্কট রাশির জাতকরা অন্যদের দায়িত্ব নিতে পারেন। তাঁরা অন্যদের বিষয়ে খুব সচেতন। সকলকে সম্মান করেন তাঁরা। শাশুড়ির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। যে কোনও সুযোগেই তাঁরা শাশুড়ি মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক মসৃণ করার চেষ্টা করেন। সেজন্য সময়ও দেন। মানসিকভাবে অন্যদের উৎসাহিত করার ক্ষমতাও রয়েছে কর্কট রাশির।
সিংহ- সিংহ রাশির জাতক-জাতিকারা শাশুড়িদের মন জয়ের চেষ্টার কসুর করেন না। তাঁরা বলিয়ে-কইয়ে হন এবং বুদ্ধিমানও। তাই অচিরেই শাশুড়ির প্রিয় হয়ে ওঠেন। কখনও শাশুড়ির কথা অমান্য করেন না। শাশুড়ির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেন সিংহ রাশির জাতকরা। তাঁরা ভাল জামাই হওয়ার চেষ্টা করেন। শাশুড়িকে খুশি রাখার যারপরনাই চেষ্টা করেন। এটাও ঠিক সিংহ রাশির জাতকদের বহু মানুষ পছন্দ করেন।
আরও পড়ুন- মাসের চারটে দিন জন্মানো মেয়েরা হন লক্ষ্মী, পরিবারে আসে সমৃদ্ধি
কন্যা- কন্যা রাশির জাতক-জাতিকারা একদম পারফেক্টশনিস্ট হন। যে কোনও কাজ নির্ভুলভাবে করতে চান। শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনেও তাঁরা পূর্ণ সহযোগিতা করেন। কন্যা রাশির জাতকরা নিজেদের চেয়ে অন্যদের চাহিদা পূরণে বেশি মনোযোগী। সে কারণে তাঁরা সকলের প্রিয় পাত্র। শাশুড়িরও খেয়াল রাখেন। শাশুড়ির শখ ও পছন্দ-অপছন্দ জানার চেষ্টা করেন। সেই মতো কাজ করেন কন্যা রাশির জাতক-জাতিকারা। যে কারণে তাঁরা সকলের খুব প্রিয় হয়ে ওঠেন।