সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির জন্য লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করা হয়ে থাকে। মা লক্ষ্মী হলেন ধনসম্পদের দেবী। কোজাগরী পূর্ণিমার দিন ঘরে ঘরে পূজিতা হন তিনি। আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। ধন, যশ, খ্যাতি, সুস্বাস্থ্যের জন্য দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে বাংলার প্রায় প্রতিটা পরিবার।
জ্যোতিষশাস্ত্রে, ১২ রাশির মধ্যে, এমন ৩ রাশি রয়েছে যাদের উপর দেবী লক্ষ্মীর বিশেষ কৃপা থাকে। এসব রাশির জাতক জাতিকারা তাদের গুণাবলী, আচরণ এবং শিল্প দিয়ে দেবী লক্ষ্মীকে আকর্ষণ করতে সফল। যদিও দেবী লক্ষ্মী সমস্ত রাশির জাতকদের আশীর্বাদ করেন। কিন্তু এদের জীবনে কখনও আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হতে হয় না। জানুন দেবী লক্ষ্মী কোন রাশির জাতকদের উপর সব সময় আশীর্বাদ বর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: কোজাগরী পূর্ণিমার দিন পূজিতা হন তিনি! জানুন মা লক্ষ্মীর পুজোর মন্ত্র
মেষ/ARIES (March 21-April 20)
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মেষ রাশির জাতকরা স্বভাবতই খুব পরিশ্রমী। তারা যা করার জন্য প্রস্তুত তা সম্পন্ন না করা পর্যন্ত বিশ্রাম নেন না। তাদের মধ্যে এক ধরণের আত্মবিশ্বাস দেখা যায়। তারা স্বভাবতই আত্মবিশ্বাসী, উৎসাহী এবং আশাবাদী। শুধু তাই নয়, তারা তাদের কাজের প্রতি খুব সৎ। তাদের নেতৃত্বের ক্ষমতা খুব ভালো। যার কারণে তারা কর্মক্ষেত্রে ভালো পারফর্ম করে এবং দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে।
বৃষ /TAURUS (April 21 – May 20)
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বৃষ রাশির জাতকরা খুব ব্যবহারিক এবং নির্ভরযোগ্য। তারা মানুষের সাথে দেখা করতে পছন্দ করে। যার কারণে তারা যেখানেই যান আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। তাদের এই গুণটি দেবী লক্ষ্মীর খুব প্রিয়। তবে, তারা নিরাপদ পরিবেশে থাকতে পছন্দ করেন। তবে, তারা খুব কম ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন। এছাড়াও, এই রাশির অধিপতি হলেন শুক্র, যা বস্তুগত সুখের গ্রহ। এই কারণে, তাদের জীবনে কোনও অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা হয় না।
আরও পড়ুন: আগামী বছর দুর্গাপুজো কবে পড়েছে ? জানুন ২০২৬-র মহালয়া থেকে ভাইফোঁটার দিনক্ষণ
তুলা/LIBRA (Sep 24-Oct 23)
শুক্র রাশি হল তুলা রাশির অধিপতি। যার কারণে এদের বস্তুগত আরাম-আয়েশের কোনও অভাব হয় না। এই কারণেই এরা স্বাভাবিক জীবনের চেয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে পছন্দ করে। এরা এর জন্য খুব পরিশ্রম করে। এদের কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার কারণে দেবী লক্ষ্মী এদের উপর সর্বদা খুশি থাকেন এবং এদের উপর তাঁর আশীর্বাদ রাখেন। এছাড়াও, এদের বিরোধ মোকাবেলা করার দক্ষতা আছে। এরা জানে কীভাবে বিরোধ থেকে বেরিয়ে আসতে হয়। যার কারণে এরা কর্মক্ষেত্রে কোনো ধরণের বিরোধে জড়িয়ে পড়ে না। এছাড়াও, এদের মধ্যে ন্যায়বিচারের গভীর অনুভূতি রয়েছে।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)