বৃহস্পতিবার দিনটিকে ভগবান নারায়ণের পাশাপাশি মা লক্ষ্মীকেও উৎসর্গ করা হয়েছে। বলা হয় মা লক্ষ্মীকে তুষ্ট করতে পারলে ভক্তের সুখ-সমৃদ্ধির অভাব হবে না। তবে জ্যোতিষশাস্ত্রে, কিছু রাশির ওপর মা লক্ষ্মীর কৃপা সর্বদা থাকে। এই ৫ রাশির জাতকদের ওপর মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সবসময় থাকে। এদের আর্থিক অনটন কোনও সময় থাকে না। আসুন তাহলে দেখে নিই মা লক্ষ্মীর প্রিয় রাশি কারা।
মেষ রাশি
জ্যোতিষ অনুসারে, মেষ রাশির জাতকেরা কর্মঠ ও বেশ পরিশ্রমী হয়ে থাকে। এরা যে ভাবে সেটা করেই দম নেয়। এদের মধ্যে আলাদাই আত্মবিশ্বাস দেখা যায়। এরা স্বভাবে আত্মবিশ্বাসী, উৎসাহী ও আশাবাদী হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, এরা নিজেদের কাজ নিয়ে খুব নিষ্ঠাবান হয়ে থাকেন। এদের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা থাকে। মা লক্ষ্মীর কৃপায় এদের অর্থের অভাব হয় না।
বৃষ রাশি
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, বৃষ রাশির জাতকেরা খুব বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য হয়ে থাকেন। এরা লোকেদের সঙ্গে মিশতে ভালোবাসেন। যেখানেই যান আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে ওঠেন। এদের এই গুণ মা লক্ষ্মীদের খুবই পছন্দ হয়। এই রাশির জাতকেরা সুরক্ষিত আবহে থাকতে পছন্দ করেন। এরা ঝুঁকি নিতে একদম ভালোবাসেন না। এদের অধিপতি শুক্র, তাই এদের ওপর মা লক্ষ্মীর কৃপা সব সময় থাকে।
মিথুন রাশি
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মিথুন রাশির জাতকদের স্বভাব নরম, স্নেহময় ও জিজ্ঞাসু স্বভাবের হয়ে থাকে। এদের এই বৈশিষ্ট্য জীবনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করে। বুধ এই রাশির জাতকদের অধিপতি, যার ফলে এরা বুদ্ধিতে এগিয়ে থাকে। সৃজনশীলতা থাকে এদের মধ্যে। এরা এটার ওপর নির্ভর করেই কেরিয়ারে সফলতা প্রাপ্তি করে এবং মা লক্ষ্মী এদের ওপর প্রসন্ন থাকেন। এদের কখনও অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা হয় না।
কন্যা রাশি
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, কন্যা রাশির জাতকদের আচরণ খুব ভাল ও বিশ্বাসযোগ্য হয়। এদের স্বামী বুধ গ্রহ, এরা দয়ালু, নির্ভরযোগ্য ও বিশ্লেষণাত্বক হয়ে থাকেন। পরিশ্রম করতে এরা ভয় পান না। এইজন্য এরা কেরিয়ারে বড় কিছু অর্জন করতে পিছু পা হন না। এরা সকলের মধ্যমণি হয়ে থাকতে ভালোবাসেন। এরা অন্যদের সাহায্য করে থাকেন। এই স্বভাবের কারণে মা লক্ষ্মী সব সময় এদের ওপর প্রসন্ন থাকেন। এরা অর্থনৈতিকভাবে খুবই মজবুত হয়।
তুলা রাশি
তুলা রাশির অধিপতি শুক্র। এদের কাছে জাগতিক সুখের অভাব হয় না। এই কারণে এরা লাক্সারি লাইফ কাটান। এদের পরিশ্রম ও কর্মঠ হওয়ার কারণে মা লক্ষ্মী এদের ওপর সর্বদা কৃপা বর্ষণ করেন। এরা যে কোনও অশান্তি থেকে সহজেই বেরিয়ে আসতে পারে। তাই কর্মক্ষেত্রে এরা কখনও ঝামেলায় জড়ায় না। এদের মধ্যে ন্যায়ের গভীর ভাবনা থাকে।