হিন্দু ধর্মে মঙ্গলবারের দিনটিকে সঙ্কট মোচন হনুমানজিকে সমর্পণ করা হয়েছে। মঙ্গলবারের দিন করা পুজো-পাঠ ও ব্রত থেকে ভগবান প্রসন্ন হন এবং জীবনের সব দুঃখ-কষ্ট দূর করে দেন। জ্যোতিষে মঙ্গলবারের দিনটিকে পুজো-পাঠের জন্য খুব শুভ বলে মনে করা হয়। মঙ্গলবার হনুমানজির পুজোর পাশাপাশি কিছু উপায় যদি করতে পারেন তাহলে সঙ্কট থেকে মুক্তি পাবেন এবং সব বিগড়ে থাকা কাজ সহজেই হয়ে যাবে। এই বিশেষ উপায় করলে হনুমানজিও প্রসন্ন হবেন। আসুন জেনে নিই মঙ্গলবারের উপায় সম্পর্কে।
মঙ্গলবারের উপায়
মঙ্গলবার সকালে স্নান সেরে হনুমান মন্দিরে গিয়ে ভগবানের সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান। সেই সঙ্গে হনুমানজিকে ছোলা নিবেদন করুন, মালা পরান এবং লাড্ডু অর্পণ করুন। এরপর হনুমান চল্লিসা পাঠ করুন। এই প্রতিকার করলে বজরঙ্গবলী প্রসন্ন হন এবং পথে আসা সমস্ত বাধা শীঘ্রই দূর করেন।
বাঁদরদের খাওয়ান
আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে মঙ্গলবারের দিন বাঁদরদের গুড়, ছোলা, বাদাম বা কলা খাওয়ান। যদি এই খাবারগুলি বাঁদরদের খাওয়ানো সম্ভব না হয় তবে কোনও গরীব বা অভাবী মানুষদের এই জিনিসগুলি দান করে দিন। এই উপায় ১১ দিন ধরে করলে আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পাবেন।
নীলকান্তের পালক লাগান
বাড়িতে যদি ছোট বাচ্চা থাকে এবং সে খুব কান্নাকাটি করে, তবে মঙ্গলবার শিশুটির বিছানার নীচে নীলকান্তের পালক রাখুন।
রাম রক্ষা স্ত্রোত্র পরুন
মঙ্গলবারের দিন রাম রক্ষা স্ত্রোত্রের পাঠ করুন। এতে হনুমানজির কৃপায় জীবনে সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সুগন্ধি ও গোলাপের মালা পরান
হনুমানজিকে খুশি করতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হনুমানজিকে ক্যাওড়ার সুগন্ধি এবং গোলাপের মালা অর্পণ করুন।
খারাপ নজর থেকে বাঁচতে
মঙ্গলবার যবের আটায় কালো তিল ও তেল মিশিয়ে রুটি তৈরি করুন। এই রুটি তেল ও গুড় দিয়ে মাখুন এবং এটা নজর লেগেছে এমন ব্যক্তি বা শিশুর মাথার ওপর সাতবার ঘুরিয়ে পরে এটি মহিষকে খাওয়ান। এর সঙ্গে সঙ্গে খারাপ নজরের প্রভাব শেষ হয়ে যায়।