জ্যোতিষশাস্ত্রে শনিদেবকে ন্যায়ের দেবতা বলা হয়। কর্ম অনুযায়ী ফল দেন শনি। শনিদেব প্রত্যেক মানুষকে তাঁর কর্মের ফল দিয়ে ন্যায়বিচার করেন। স্বাভাবিকভাবে ভাল কাজ করলে মেলে শনির আশিস। আর খারাপ কাজে গ্রাস করে শনির দশা। শনির ক্রোধে নিঃস্ব হতে হয়। শনির ধাইয়া বা সাড়ে সাতি চললে আরও বিপদ। এই মুহূর্তে শনির দশায় ৫ রাশি। শনিদোষ কাটাতে কী করবেন?
কোন কোন রাশিতে শনির সাড়ে সাতি এবং ধাইয়া চলছে?
বর্তমানে ৩টি রাশিতে শনির সাড়ে সাতি এবং ২টি রাশিতে শনির ধাইয়া চলছে। সাড়ে সাতি চলছে ধনু, মকর ও কুম্ভ রাশিতে।আর মিথুন ও তুলা রাশিতে ধাইয়া চলছে।
কবে শেষ হবে শনির সাড়ে সাতি?
মিথুন এবং তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর ২০২৩ সালে ১৭ জানুয়ারি শনির ছায়ায় থাকবে। এই দুই রাশি ২০২৩ সালে শনি ধাইয়া থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাবে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, গত ১২ জুলাই মকর রাশিতে প্রবেশ করেছিলেন শনিদেব। মকর রাশিতে শনিদেবের গমনের কারণে কুম্ভ, মকর ও ধনু রাশিতে শনির সাড়ে সাতি শুরু হয়েছে। শনি মকর থেকে কুম্ভ রাশিতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাড়ে সাতি থেকে মুক্তি পাবেন। মীন রাশির জাতক-জাতিকাদের সাড়ে সাতি শুরু হবে। পঞ্চাঙ্গের গণনা অনুসারে, শনি ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ পর্যন্ত মকর রাশিতে থাকার পর কুম্ভ রাশিতে পাড়ি দেবেন শনিদেব।
শনির মহাদশার প্রতিকার
-জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে শনির মহাদশা থেকে মুক্তি পেতে শনিবার শনি মন্দিরে যান। সেখানে শনিদেবকে তেলের প্রদীপ নিবেদন করুন। শনিদেবকে উৎসর্গ করা প্রদীপে কিছু কালো তিল রাখুন। বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে ভক্তরা শনিদেবের বিশেষ আশীর্বাদ পান। এর পাশাপাশি শনি দোষ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
- শনিদোষে কাটাতের সাড়ে পাঁচ কেজি ময়দার মধ্যে দেড় কেজি গুড় মিশিয়ে মিষ্টি রুটি তৈরি করুন। শনিবার সূর্যাস্তের সময় সেই রুটি গাভীকে খাওয়ান। গরুর রং কালো হলে ভাল ফল পাবেন। এতে শনির অশুভ প্রভাব কমে।
- শনিবার সূর্যোদয়ের সময়, অন্তত ২৫১ বার 'ওঁ শ্রী হ্রীং শ্রী কমলে কমলালয়ে প্রসীদ শ্রী হ্রিং শ্রী ওঁ মহালক্ষ্ময়ে নমঃ' মন্ত্র জপ করুন।
- গরিব মানুষকে সাহায্য করুন। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। শনি শুভ ফল দেয়।
- শনিবার শনি চালিসা এবং শনি মন্ত্রের জপও করতে পারেন।
আরও পড়ুন- লক্ষ্মী তো বটেই নারায়ণও সহায়, গোটা মাস এই রাশিগুলির দারুণ সময়