শুরু হতে চলেছে ২০২৩ সাল। আর দেড় মাস পরেই বিদায় নেবে ২০২২। নতুন বছরে বেশ কয়েকটি রাশির জন্য নিয়ে আসছে শুভ সংকেত। আর কয়েকটি রাশির জন্য একেবারেই অশুভ হতে চলেছে নতুন বছর। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী,নতুন বছরে কয়েকটি রাশির উপরে তির্যক নজর পড়বে শনিদেবের। বর্তমানে শনি তার নিজস্ব রাশি মকরে অবস্থান করছে। ২০২৩ সালে কুম্ভ রাশিতে প্রবেশ করবে শনি। শনি কুম্ভ রাশিতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি রাশির উপর শুরু হয়ে যাবে সাড়ে সাতি। আর কয়েকটি রাশি চলে আসবে ঢাইয়ার কবলে।
প্রতিটি রাশির জীবনে অন্তত একবার শনির সাড়ে সাতি বা ঢাইয়া আসে। এই মহাদশায় জীবন ভরে ওঠে বাধাবিঘ্নে। নানা কাজে আসে বাধা। মহাদশায় কোনও কিছুই ঠিক হয় না। মেলে না ভাগ্যের সঙ্গ। ২০২৩ সালে বেশ কয়েকটি রাশির জীবনে আসতে চলেছে সাড়ে সাতি ও ঢাইয়া।
মীন রাশি - ২০২২ সালের ২৯ এপ্রিল মীন রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর শনির সাড়ে সাতি শুরু হয়েছিল। ১৭ জানুয়ারি কুম্ভ রাশিতে গমন করতে চলেছে শনি। মীন রাশির জাতক-জাতিকারা সেই ২০৩০ সালের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সাড়ে সাতির কবলে থাকবেন। তাঁদের এখন শনির সাড়ে সাতির প্রথম পর্ব চলছে।
মকর - মকর রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর শনির সাড়ে সাচি শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি। শেষ হবে ২০২৫ সালের ২৯ মার্চ।
ধনু - ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি শনির সাড়ে সাতি থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাবেন ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা। তাঁদের খারাপ দিন শেষ হতে চলেছে।
কুম্ভ -কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের শনির সাড়ে সাতি শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি। তা চলবে ২০২৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ওই দিন শনির কুনজর থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাবেন তাঁরা।
এই রাশিগুলির উপর শনির ঢাইয়ার প্রভাব-
চলতি বছর ২৯ এপ্রিল কর্কট এবং বৃশ্চিক রাশিতে শুরু হয়েছে শনির ঢাইয়া। ১৭ জানুয়ারি শনির রাশি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তুলা ও মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারা শনি ঢাইয়া থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাবেন । ২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে দুই রাশিতে চলছে শনির ঢাইয়া।
প্রতিকার
জ্যোতিষশাস্ত্রে শনিদেবের সাড়ে সাতি ও ঢাইয়া থেকে মুক্তির জন্য একাধিক প্রতিকার দেওয়া হয়েছে। এই সব উপায় অনুসরণ করলে বেশি কষ্ট দেন না শনিদেব। বাধাবিঘ্ন থেকেও মেলে মুক্তি। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই প্রতিকারগুলি কী কী-
হনুমানজির পুজো- শনিদেবের সাড়ে সাতি ও ঢাইয়া চল শনিবার নিয়ম মেনে হনুমানে পূজো করুন। বাড়িতে বা মন্দিরে হনুমান চালিসা ও সুন্দরকাণ্ড পাঠ করুন। এতে শনির প্রভাব অনেকটা কমে।
শনিদেবের শান্তির উপায়- শান্তির জন্য শনিবার শনিদেবের পুজো করুন। শনিবার সন্ধ্যায় শনি মন্দিরে একটি সর্ষের তেলে প্রদীপ জ্বালান। এবং কালো তিল দান করুন।
দান করুন- শান্তির জন্য কালো রঙের বস্ত্র দান করুন। কুকুর ও গরুকে রুটি খাওয়ালে শনিদেব কষ্ট থেকে মুক্তি দেন। শনিবার অশ্বত্থ গাছে জল নিবেদন করুন। শনিবার মদ ইত্যাদি সেবন করবেন না।
মিথ্যা বলবেন না- শনির সাড়ে সাতি ও ঢাইয়া চললে মিথ্যা বলবেন না। এতে শনিদেব ক্রুদ্ধ হন। সৎ পথে থাকার চেষ্টা করুন। দেখবেন প্রভাব কমে গিয়েছে। কারণ শনি ন্যায়ের দেবতা।
পরিশ্রম করুন- সাড়ে সাতি ও ঢাইয়ার সময় পরিশ্রম করলে উত্তম ফল দেন শনিদেব। তাই পরিশ্রমবিমুখ হয়ে ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেবেন না। যতটা বাধা আসবে তার দ্বিগুণ পরিশ্রম করুন। দেখবেন বাধা কাটিয়ে দেবেন স্বয়ং শনিদেবই। কারণ তিনি কর্ম অনুযায়ী ব্যক্তিকে ফল দান করেন। তাই কর্ম করে চলুন।
আরও পড়ুন- হঠাৎ কপাল খোলে এই সব নামের ব্যক্তিদের, রাতারাতি হন বড়লোক