Shani Dev: ভুল জেনেও এই ৬ কাজ করেন নাকি! শনির কুনজর তাড়া করবে সারাজীবন

কর্মফলদাতা হিসাবে পরিচিত শনিদেব। শনি ব্যক্তির কর্মফল অনুযায়ী ফল প্রদান করে থাকেন। শনির সুনজর যার ওপর পরে সে রাতারাতি কাঙাল থেকে রাজা হয়ে যায় আবার শনির কুনজর যদি কারোর ওপর থাকে তবে সে রাজা থেকে ফকির হতে বেশি সময় নেয় না। তাই যে কোনও কাজই ভেবেচিন্তে করবেন যাতে কোনওভাবে শনি রুষ্ট না হন। শনির অশুভ ছায়া তার উপর পড়লে তার কোন কাজই সফল হতে পারে না। মানসিক, শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতি হয়। আপনার উপর শনির কুদৃষ্টি এড়াতে এমন কিছু কাজ রয়েছে যা ভুল করেও করা উচিত নয়। জ্যোতিষে শনিদেবকে খুবই মাহাত্ম্য দেওয়া হয়েছে। 

হিন্দুধর্মে বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা করা হয়। শনিবার শনিদেবের পুজো করার নিয়ম আছে। এই দিনে লোকেরা শনি দোষ এড়াতে এবং শনি মহারাজের আশীর্বাদ পেতে বিভিন্ন ধরণের আচার করে থাকে। 

কুকুরকে নির্যাতন করবেন না
শাস্ত্র অনুসারে, অবলা প্রাণী বিশেষ করে কুকুরকে অত্যাচার করে, অকারণে হত্যা করেন যারা, তারা শনিদেবের রোষের মুখে পড়েন দ্রুত। তাই চেষ্টা করবেন কুকুরকে কোনওভাবে অবহেলা বা নির্যাতন না করার। 

নোংরা থাকেন যারা
যারা নোংরা হয়ে থাকেন, গুজব ছড়ান, তারা কখনওই শনিদেবের আশীর্বাদ পায় না। শনির অশুভ ছায়ার কারণে এই ধরনের ব্যক্তিরা অসুস্থ, কষ্ট, আর্থিক সংকট, ব্যর্থতার সম্মুখীন হন।

খারাপ কাজ যারা করেন
শনিকে কর্মের দাতা বলা হয়, তাই যারা নিজের উপকারের জন্য দরিদ্র, অসহায় মানুষের যে কোনও ধরনের ক্ষতি করে, যারা খারাপ কাজ করে, চুরি ও প্রতারণা করে তাদের আজীবন শাস্তি দেন শনি। শনি রুষ্ট হলে এই ধরনের লোকদের খারাপ সময় শুরু হয়।

গুরুজনদের অপমান করলে
গুরুজনদের অপমান করা হয়, মাকে গালি দেওয়া তাকে শনির ক্রোধের শিকার হতে হয়। এর জেরে শনির প্রভাবে ধনীলোকও গরিব হতে শুরু করেন।

মদ খাওয়া
অমাবস্যা বা শনিবার যারা মদ খায় তাদের শনিদেব কখনও ক্ষমা করেন না। শনির মহাদশা যখন এই ধরনের লোকদের উপর পড়ে, তখন তাদের প্রতিটি পদক্ষেপে কষ্ট পেতে হয়।

বট বা অশ্বত্থ গাছের ক্ষতি করা
বট বা অশ্বত্থ গাছকে শনি পুজো উপযোগী মনে করা হয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে, যারা পিপল গাছের ক্ষতি করে, কেটে ফেলতে বা কাটেন তাদের উপর শনি ক্ষুব্ধ হয়ে অভিশাপ দেন। শনি কখনও কখনও এই ব্যক্তিদের কড়া শাস্তি প্রদানও করেন।

শনি দোষ থেকে মুক্তি পেতে
যদি শনি দোষ থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে শনিবার শনি মূর্তির ওপর তেল নিবেদন করুন। তারপর গরীব, অভাবীদের সামর্থ্য অনুযায়ী দান করুন। প্রতিদিন শনি চাল্লিসা পাঠ করুন।