বাড়িতে তুলসী গাছ থাকা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। কারণ তুলসী গাছে মা লক্ষ্মীর বাস। আর যে ঘরে তুলসী গাছ থাকে সেখানে মা লক্ষ্মীর কৃপা সর্বদাই পাওয়া যায়। তবে যে বাড়িতে বিপদ আসতে পারে, ওই ঘরে থাকা তুলসীর গাছ শুকিয়ে যায়। অনেক যত্ন নেওয়ার পরও যদি তুলসীর গাছ যদি না বাড়ে এবং পাতাগুলিও ক্রমাগত ঝরে যেতে থাকে আর গাছটিও শুকিয়ে যায় তবে শকুন শাস্ত্র অনুসারে, এটা কোনও অশুভ কিছুর সঙ্কেত হতে পারে। এরকম অবস্থায় সব কাজ খুব সাবধানে করুন এবং নিজের আচরণও সঠিক রাখা উচিত।
কেন শুকিয়ে যায় তুলসীর গাছ
কথিত রয়েছে, যে বাড়িতে দরিদ্রতা, অশান্তি ও ঝগড়া হয়, সেখানে লক্ষ্মীর বসবাস থাকে না। যখন বাড়িতে কোনও বিপদ আসে তখন এই সব সঙ্কেতগুলি ধীরে ধীরে দেখতে পাওয়া যায় আর সেই বাড়িতে লক্ষ্মী থাকে না। জ্যোতিষ মতে, এটা হওয়ার কারণ বুধ গ্রহের দশা খারাপ হওয়ার দরুণ হয়। বুধ সবুজ রঙের অধিপতি এবং একে গাছপালার কারক গ্রহ হিসাবে মানা হয়ে থাকে। এটা এমনই এক গ্রহযা অন্য গ্রহের ভালো-খারাপ প্রভাব সকলের কাছে পৌঁছে দেয়।
তুলসীর প্রকার
শাস্ত্র অনুসারে, তুলসী অনেক রকমের হয়ে থাকে। যেমন, রামা তুলসী, শ্যামা তুলসী, জ্ঞান তুলসী, লক্ষ্মী তুলসী, ভূ তুলসী, রক্ত তুলসী, নীল তুলসী, শ্বেত তুলসী, বন তুলসী। তবে অধিকাংশ বাড়িতে শ্যামা তুলসী ও রামা তুলসীর পুজো করা হয়ে থাকে।
বাস্তু দোষে কার্যকরী
তুলসীকে দেবতুল্য গাছ হিসাবে মনে করা হয়। আমাদের শাস্ত্রে তুলসী গাছের গুণে ভরে রয়েছে। তুলসী শুধু পুজোর জন্যই নয় স্বাস্থ্যের জন্য এবং ঘরের বাস্তু দোষ দূর করতেও কার্যকর। ঘরে তুলসী গাছ লাগিয়ে প্রতিদিন পুজো করলে বাড়ির ছোটখাটো বাস্তু দোষ অকার্যকর থাকে। বাড়ির দক্ষিণ-পূর্বে (দক্ষিণ-পূর্ব কোণে), উত্তর-পশ্চিম কোণে (পশ্চিম কোণে) তুলসী গাছ লাগানো খুবই শুভ।
পারিবারিক কলহ দূর করতে
যদি পরিবারে কলহের পরিবেশ থাকে, তাহলে বাস্তু মতে রান্নাঘরের কাছে তুলসীর গাছ রাখলে পারিবারিক কলহ দূর হয়। পরিবারের কোনো সন্তান যদি ভুল পথে হাঁটতে শুরু করে, তাহলে তাকে প্রতিদিন কোনও না কোনওভাবে তুলসীর তিনটি পাতা খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।