সূর্য সব সময় রহস্যে ভরপুর। এর উপর ৩ এপ্রিল প্লাজমার একটা ফিলামেন্ট নির্মাণ হয়েছে। এটি ফিলামেন্ট বিশালাকায় গভীর এবং শক্তিশালী। এই চৌম্বকীয় শক্তি থেকে বড় সৌর হাওয়া হচ্ছে। যার কারণে এটি পৃথিবীর চৌম্বকীয় শক্তি লাগাতার Aura তৈরি করছে।
অবাক হওয়ার বিষয় এটি যেটি এই ফিলামেন্টটি কুড়ি হাজার কিলোমিটার গভীর। দু লাখ কিলোমিটার লম্বা। বৈজ্ঞানিক ফিলামেন্ট টিকে আগুনের গহ্বর বা ক্যানিয়ন এর নাম দিয়েছেন।
ইংল্যান্ডের আবহাওয়া বিভাগ এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তারা জানিয়েছেন যে সূর্যের দক্ষিণ-মধ্য এলাকায় দুটি বড় ফিলামেন্টস তৈরি হতে দেখা যাচ্ছে। অন্তরীক্ষে আল্ট্রাভায়োলেট অংশে ঘুরতে থাকা স্যাটেলাইট এবং মাটির উপর মজুত টেলিস্কোপে ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের ছবি নেওয়া হয়েছে। এটি স্পেকট্রাম ফিলামেন্টের তৈরি হওয়ার কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছিল। এ থেকেই বিস্ফোরণের অনুমান করা যায়।
সূর্যের উপরের প্রথম ফিলামেন্ট ৩ এপ্রিল এবং দ্বিতীয়টির ৪ এপ্রিল ২০২২ এ তৈরি হয়েছিল। বিস্ফোরণের পর ইজেকশন হয়েছিল। আবেশিত প্লাজমা এবং সূর্যের বায়ুমণ্ডলে বেরিয়ে পৃথিবীর দিকে চলে আসে। যখন সিএমই পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের সঙ্গে ধাক্কা খায় তখন সেটি জিও ম্যাগনেটিক ঝড় তৈরি করে।
যদি জিও ম্যাগনেটিক ঝড় বেশি শক্তিশালী হয় তাহলে স্যাটেলাইট লিঙ্ক-এ বাধা সৃষ্টি করে। পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকে থাকা যন্ত্র এবং ইলেকট্রনিক্সের ক্ষতি করতে পারে। এমনকী পৃথিবীতে মজুত থাকা বিদ্যুৎ পরিষেবা সমস্যায় পড়তে পারে। বায়ুমণ্ডলের উপরে ঝড় আসার কারণে নর্দান লাইট তৈরি হয়।
৩ এবং ৪ এপ্রিল বের হওয়া সিএমই-এর কারণে পৃথিবীতে ৭ এবং ৮ এপ্রিল জিও ম্যাগনেটিক ঝড় এর প্রভাব দেখা যেতে পারে। এই ঝড় জি-ওয়ান এবং জি-টু এই দুই স্তরের হতে পারে। যদিও এটি এখনও স্থির নয় যে ৪ এপ্রিলে বের হওয়া এই সৌর তুফান পৃথিবী পর্যন্ত পৌঁছাবে কিনা। কিন্তু দুটি ধ্রুবতে রামধনু রঙ ওয়ালা রশ্মি খেলা নজরে আসতে পারে কারণ ধ্রুবটির উপর বায়ুমণ্ডলের পাতলা হয়ে যায়।