দম ফেলার সময় নেই কলকাতার কুমোরটুলির। প্রতিমা তৈরির কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে। বহু প্রতিমা তো ইতিমধ্যেই প্যান্ডেলে পৌঁছেও গিয়েছে। উদ্বোধন করাও হয়ে গিয়েছে।
পুজো আসার কয়েক মাস আগে থেকেই কুমোরটুলিতে ভিড় বাড়তে থাকে ফটোগ্রাফার, ভ্লগারদের। কেউ বানাচ্ছেন রিল তো কেউ প্রিওয়েডিং শ্যুটে ব্যস্ত।
কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের চাহিদায় হটলিস্টে চলে আসে কুমোরটুলি। এবারও একই অবস্থা। বরং গতবারের চেয়ে বেশি।
শিল্পীরা কীভাবে ঠাকুর বানাচ্ছেন, আলো আঁধারিতে শৈল্পিক ফটো তোলার চেষ্টা, প্রিওয়েডিং ফটোশ্যুট, সব মিলিয়ে এবারও ভিড়।
যার নির্যাস, মৃত্শিল্পীদের কাজ করতে ভীষণ অসুবিধা হয়। এদিকে বায়নার ঠাকুরগুলি দ্রুত শেষ না করতে পারলে চাপ। তার উপর এ বছর বৃষ্টির দাপট।
দুর্গাপুজোর আগে সপ্তাহের প্রতিদিনই কুমোরটুলি কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের পাখির চোখ। তার উপর আবার বিদেশি পর্যটকদেরও ভিড় থাকে।
মোবাইল ক্যামেরা এখন সবার হাতেই। কুমোরটুলিতে সকলেই নিজের ক্রিয়েটিভ সত্ত্বাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরতে ব্যস্ত।
আপনিও কি কুমোরটুলিতে ঠাকুর গড়ার ছবি, ভিডিও বা রিল বানাতে চাইছেন? এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ে না গেলে কিন্তু এন্ট্রি মিলবে না।
কীভাবে কুমোরটুলিতে ছবি, ভ্লগ বা প্রিওয়েডিং শ্যুটিংয়ের জন্য বুকিং নিতে হয়, জেনে নিন।
কুমোরটুলিতে ছবি তোলার জন্য কুমোরটুলি মৃৎশিল্প সংস্কৃতি সমিতির তরফে প্রতি বছর একটি কার্ড ইস্যু করা হয়।
১০০ টাকার বিনিময়ে ১ মাসের জন্য ছবি তোলার অনুমতি মেলে। সংগঠনের সম্পাদক বাবু পাল জানিয়েছেন, এই কার্ডে দুপুর ১টা থেকে ৩টে পর্যন্ত ছবি তোলা নিষেধ। তা ছাড়া অনুমতি ছাড়া কোনও স্টুডিও ভিতরে প্রবেশ করে ছবি তোলাও নিষেধ। তাতে বলা হচ্ছে, মহালয়া থেকে পঞ্চমী বন্ধ থাকছে এই ধরনের সব কর্মকাণ্ড। বৃষ্টির জেরে আবহাওয়া এ বছর এমনিতেই বহু প্যান্ডেলের অবস্থা খারাপ। তাই আবহাওয়ার উন্নতি হতেই ঠাকুর নিয়ে যাওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে পুজো কমিটিগুলির। তাই কুমোরটুলিতে এখন দম ফেলার সময় নেই। বাড়ির ঠাকুরগুলিও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।