আজ রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক মুকেশ আম্বানির ৬৫ তম জন্মদিন, যেটি পেট্রোলিয়াম শোধনাগার থেকে টেলিকম এবং রিটেল সেক্টরে নিজের আধিপত্য বিস্তার করেছেন৷ ব্যবসার জগতে মুকেশ আম্বানি নির্ভয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তবে ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একটি বিষয়ে কিছুটা ভয় পান।
১৮ বছর বয়স থেকে কাজ করেছেন, পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে দেন
আম্বানি ১৯৫৭ সালের ১৯ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার বাবা ধিরুভাই আম্বানির জ্যেষ্ঠ সন্তান। তার বয়স যখন ১৮ বছর তখন তার বাবা দেশে পলিয়েস্টার সুতোর কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু করেন। সেই সময় মুকেশ আম্বানি পড়াশোনা করছিলেন, কিন্তু তিনি তার বাবাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন এবং তার সঙ্গে কাজ শুরু করেন। প্ল্যান্ট স্থাপনের পর, যখন তার বাবা তাকে তার পড়াশোনায় ফিরে যেতে বলেন, আম্বানি তার পরিবর্তে তার সঙ্গে ব্যবসা করার দিকে মনোনিবেশ করেন।
মুকেশ আম্বানি যে বিষয়টি ভয় পান
স্কুলের সময় মুকেশ আম্বানি হকি খেলতে পছন্দ করতেন। তবে স্বভাবগতভাবে তিনি খুবই লাজুক মানুষ। এই কারণেই বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও, আপনি অবশ্যই তাকে খুব সহজ সরল ভাবে থাকতে দেখেছেন।
একটি সাক্ষাত্কারে, মুকেশ আম্বানি নিজেই বলেছিলেন যে তিনি খুব লাজুক এবং জনসমক্ষে কথা বলতে খুব ভয় পান। তিনি আজ পর্যন্ত মদ স্পর্শ করেননি। তার বাবার সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের কাজের কারণে, মুকেশের ওপর তার অনেক প্রভাব পড়েছিল। তাই প্রায়ই মুকেশ আম্বানিকে তার বক্তব্যে প্রায়শই বাবার কথার উদাহরণ দিতে দেখা যায়।
তার লাজুক স্বভাবের কারণে মুকেশ আম্বানিকে মিডিয়াতে খুব বেশি সাক্ষাৎকার দিতে দেখা যায় না। একই সঙ্গে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব একটা সক্রিয় নন। তার বেশিরভাগ স্পিচ শুধুমাত্র একটি বড় বিনিয়োগকারী সম্মেলন বা তার কোম্পানির এজিএম-এ শোনা যায়।
উত্তরাধিকারসূত্রে পিতার ব্যবসা সামলাচ্ছেন
রিলায়েন্সের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন মুকেশ আম্বানির বাবা ধিরুভাই আম্বানি। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়াশোনা শেষ করার পর, মুকেশ আম্বানি ১৯৮১ সালে তার বাবা ধীরুভাই আম্বানির সঙ্গে পেট্রোলিয়াম এবং রাসায়নিক ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে, কোম্পানির নাম রিলায়েন্স টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড করা হয়। ২০০২ সালে ধীরুভাই মারা যান এবং তার মৃত্যুর পর, মুকেশ আম্বানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের নিয়ন্ত্রণ নেন।