পার্লে বিস্কুটের টেস্টের জাদু এখনও মানুষের জিভে লেগে আছে। তাইতো ঘরোয়া বিস্কুটের ব্র্যান্ড হিসেবে লম্বা সময় পর্যন্ত প্রথম পছন্দ হয়ে রয়েছে তারা।
কান্তার ইন্ডিয়া বছরভর ব্র্যান্ড ফুটপ্রিন্ট রিপোর্ট অনুসারে (Kantar India Annual Brand Footprint Report) বিস্কুট ব্র্যান্ড পার্লে ২০২১-এ ভারতের দ্রুত কনজিউমার প্রোডাক্ট বাড়িয়ে চলেছে এবং সবচেয়ে বেশি উপভোক্তা সংগ্রহ করা বিস্কুট হয়ে গিয়েছে। লাগাতার ১০ বছর পারলে এই মামলার টপ রয়েছে।
দশ বছরের থেকে এক নম্বর পার্লে। কান্তার ইন্ডিয়া নিজের রিপোর্টের কনজিউমার রিচ পয়েন্ট এর আধারে ২০২১ এ সবচেয়ে বেশি বাছাই করা এফএমসিজি ব্র্যান্ড এর মধ্যে শামিল করেছে। কনজিউমার রিচ পয়েন্টকে গ্রাহকদ্র এবং গ্রাউন্ডের তরফ থেকে করা কেনাকাটা এবং এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে কত ফুটপ্রিন্ট জারি রয়েছে তার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।
পার্লে বিস্কুটের পরে এই তালিকায় রয়েছে আমূল (Amul), ব্রিটানিয়া (Brittania), ক্লিনিক প্লাস (Clinic Plus) এবং টাটা কনজিউমার (Tata Consumer Products) প্রোডাক্টস। পার্লে ৬৫৩১ মিলিয়ন কনজিউমার রিচ পয়েন্টের স্কোরের সঙ্গে ১০ বছর ধরে টপ রয়েছে।
পার্লে সিআরপিতে লাভ
২০২০ এর তুলনায় ২০২১ এ পারলে কনজিউমার রিচ পয়েন্ট ১৪ শতাংশ বাড়িয়ে ফেলেছে। এই সময়ের মধ্যে আমূলের সিআরপির ৯ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে ব্রিটানিয়া সিআরপি ১৪ শতাংশ বেড়েছে। প্যাকেজ ফুড ব্র্যান্ড হলদিরামের (Haldiram) সিআরপি বেড়ে টপ ২৫-এ এন্ট্রি করেছে এবং ২৪ তম স্থানে রয়েছে।
কনজিউমার রিচ পয়েন্টের (CRP)বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্টে ব্র্যান্ডের সংখ্যাতেও কারেকশন করা হয়েছে। ৪০০-র বেশি ব্র্যান্ড এবং ৯৮ বিলিয়ন সিআরপি মাপা খাদ্য হোমকেয়ার স্বাস্থ্য বিউটি এবং ডেয়ারি সামিল রয়েছে।
১৯২৯ এ হয়েছিল শুরু
পার্লে এসও শুরু হয়েছিল ১৯২৯ সালে। পার্লে প্রথমবার ১৯৩৮ সালে পার্লে গ্লুকো নামে বিস্কুট উৎপাদন শুরু করে ১৯৪০-৫০ সালে কোম্পানি ভারতে প্রথম নোনতা বিস্কুট মোনাকো পেশ করে। ১৯৭৪ সালে পার্লে মিষ্টি-নোনতা ক্র্যাকজ্যাক বিস্কুট পেশ করে। ১৯৮০ সালে গ্লুকো বিস্কুটের নাম শর্ট করে পারলে-জি করে দেয়। জি এর অর্থ হল গ্লুকোজ রয়েছে। কোম্পানি ১৯৮৩ সালে চকলেট মেলোডি এবং ১৯৮৬ সালে ভারতের প্রথম ম্যাঙ্গো ক্যান্ডি, ম্যাংগো বাইট লঞ্চ করে।