উত্তরপ্রদেশে বুলান শহরে একটি মাছ এখন চর্চার তুঙ্গে। বলা হচ্ছে যে, এই মাছটি অস্কার প্রজাতির এবং তার গায়ের উপরে হলুদ রং দিয়ে আল্লাহ ও মহম্মদ লেখা রয়েছে। হিন্দু এক ব্যবসায়ীর অ্যাকোরিয়ামে বড় হচ্ছিল মাছটি। ড্রাই ক্লিন এর ব্যবসা করা অঙ্কুশ সিংঘল জানিয়েছেন, যখন থেকে মাছটি বড় হতে শুরু করে, ততক্ষনে মাছের গায়ের দাগ আসতে শুরু করে। তিনি উর্দু পড়তে জানেন না। তাই কিছু বুঝতে পারেননি। কিন্তু তাঁর মুসলিম কারিগর একদিন মাছ দেখে তাঁকে জানান, মাছের একদিকে আল্লাহ এবং অন্য দিকে মহম্মদ লেখা রয়েছে।
আল্লাহ ও মহম্মদ
অঙ্কুশ জানিয়েছেন, যে ওই কারিগরের কথা আমার কথায় বিশ্বাস হয়নি। কিন্তু তিনি ২৩ জন উর্দু জানা লোককে ডেকে আনেন। সবাই একই কথা জানান যে মাছের গায়ের এক পাশে আল্লাহ এবং অন্যদিকে মহম্মদ লেখা রয়েছে। তখন তিনি এটা বিশ্বাস করতে শুরু করেন এবং মাছটি চর্চার বিষয় হয়ে যায়। গত ১০ বছর ধরে অঙ্কুশ মাছ পালন করেন এবং তিন বছর আগে তিনি অস্কার প্রজাতির মাছটি কিনে নিয়ে আসেন।
মাছে আগে দাগ ছিল না
মাছটি যখন ছোট ছিল, অংকুশের দাবি, তখন তার গায়ে কোনও দাগ ছিল না। মাছটি যতক্ষণে বড় হতে থাকে, ওই হলুদ দাগ ফুটে উঠতে থাকে। এই মাছ কেনার জন্য বহু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ লক্ষাধিক টাকা খরচ করতে রাজি। কিন্তু অঙ্কুশ এই মাছটিকে বিক্রি করতে রাজি নন। মাছের উপর আল্লাহর নাম লেখা রয়েছে।
মাছ দেখতে ভিড়
এই বিষয়টি জানতে পেরে সারা শহর থেকে মাছ দেখার জন্য তার বাড়িতে ভিড় করছেন মানুষ। মাছের সঙ্গে মানুষ যেমন সেলফি নিচ্ছেন, তিনি তার কেনার জন্য একের পর এক নিলামে উঠছে। কিন্তু অঙ্কুশ মাছ বিক্রি করবেন না। অঙ্কুশের দাবি, তার বাড়িতে যখন আল্লাহ এসেছে, তিনি তা পয়সা দিয়ে বিক্রি করে দিতে রাজি নন।
আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল
জানিয়ে দেওয়া যাক এই ঘটনার আগে উত্তর প্রদেশে শামলি এলাকাতে এক ব্যক্তি মাছ কিনেছিলেন। যার মধ্যে আল্লাহ লেখা ছিল। এই মাছটিকে দেখার জন্য লাখ-লাখ লোক ভিড় করতে শুরু করে। লোক এটা কেনার জন্য যথেচ্ছ দাম দিতে রাজি ছিলেন।