বিজ্ঞানীরা সূর্যের উপর পৃথিবীর চেয়ে তিনগুণ বেশি বড় দাগ আবিষ্কার করেছে। এই গহ্বর গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিগুণ বড় হয়ে গিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এর মাধ্যমে সৌর ঝড় আসতে পারে। যার কারণে বৈজ্ঞানিকরা চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। যদি সৌরঝড় আসতে শুরু করে তাহলে স্যাটেলাইট প্রভাবিত হবে। জিপিএস, টিভি এবং রেডিওর নেটওয়ার্ক বিপর্যস্ত হতে পারে।
SpaceWeather.com বুধবার ২২ জুন ২০০২-এ লিখেছেন, দ্রুত গতিতে বেড়ে চলা এই দাগ-এর আকার কেবল ২৪ ঘন্টায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এতে পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ডের ওপর প্রভাব পড়বে। এই কারণে পৃথিবীর দুই মেরুর ওপর রঙিন আলোর বিচ্ছুরণ "অরোরা' দেখতে পাওয়া যাবে।
মধ্যম মানের সৌর ঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে
টোনি ফিলিপ্স জানিয়েছেন, এই গহ্বর বা দাগ যদি সৌরঝড় তৈরি করে, তাহলে কমপক্ষে M Class এর হবে। এ সময় সূর্য সক্রিয় রয়েছে। এই কারণে জিও ম্যাগনেটিক ঝড় আসতে চলেছে। যাকে বৈজ্ঞানিকদের ভাষায় এম ক্লাস এবং এক্স ক্লাস এর ফ্লেয়ারস বলা হয়। সবচেয়ে মজবুত বর্গের ফ্লেয়ার্স, কারণ এই সময় সূর্য অ্যাকটিভ রয়েছে, যা আগামী 8 মাস পর্যন্ত থাকবে। এই কারণে সৌরঝড়ের আশঙ্কা বাড়তে শুরু করেছে।
১ লাখ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে আসছে সৌর ঝড়
সূর্যের উপর দাগের কারণে Coronal Mass Ejection হয়। অর্থাৎ সূর্যের উপর এক ধরনের বিস্ফোরণ অন্তরীক্ষে কয়েক লাখ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে এক আরব সমান পার্টিকেলস ছিটকে বের হয়। এই পার্টিকেলসের অংশ যখন পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খায়, তখন স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক, জিপিএস সিস্টেম, স্যাটেলাইট টিভি এবং রেডিও তরঙ্গ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
সূর্যের দাগ কীভাবে তৈরি হয়?
যখন সূর্যের কোনও অংশ, অন্য অংশের তুলনায় কম গরম হয়। তখন সেই অংশের গহ্বরের মতো দাগ তৈরি হয়। দূর থেকে ছোট-বড়, কালো-ধূসর রঙের দাগ এর মত দেখায়। এখন এই দাগ কিছু ঘন্টা থেকে শুরু করে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে। এই দাগের ভিতর অন্দরে বেশি কালো অংশকে Umbra এবং কম কালো অংশটি Pen Umbra বলে।
এর জন্য কী করছে নাসা?
সাধারণভাবে সিএমপি বেশি ক্ষতিকর হয়না। কিন্তু নাসা সব সময় সূর্যের উপর নজরদারি রাখে। নাসার পার্কার সোলার প্রভিশন সময়ে সময়ে সূর্যের চারিদিকে চক্কর লাগাতে থাকে এবং এর স্বাস্থ্য সম্পর্কে নজর রাখে। সঙ্গে সূর্য দ্বারা তৈরি করা এই গহ্বর অন্তরীক্ষের আবহাওয়া খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে।