এই গল্প এমন একজন ব্যক্তির যার বাবা ঠেলায় জিনিস বিক্রি করতেন। যাঁকে কেউ ৫০০ টাকা পর্যন্ত ধার দিতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু আজ তাঁদের কাছে এত টাকা রয়েছে যে, তাঁরা এলাকার মধ্যে সবচেয়ে কোটিপতি। আমরা রকি আব্বাস নামে এক ব্যক্তির কথা বলছি, যিনি একটি প্লাটফর্মে নিজের প্রেরণাদায়ক কাহিনী শেয়ার করেছেন। এতে তিনি নিজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল বিষয়ে জানিয়েছেন। রকির বাড়ির পরিস্থিতি বদলানোর জন্য সবার আগে বাচ্চাদের পড়ানো শুরু করে। কিন্তু এতে খুব একটা লাভ হয়নি। তিনি মনে করেন যে আমাকে কিছু বড় করতে হবে।
রকি পেশায় একজন ইউটিউবার। তিনি নিজের বাবার দিনমজুরের কাজ দেখে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। যা তাঁকে ভেতর থেকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলে। এরপরে একটা আইডিয়া তাঁকে তার কপাল বদলে দেয়। তাঁর বক্তব্য যে, জীবনে কিছু ঠিকঠাক চলছিল না। কারও সাপোর্ট পাইনি। গরিব ছিলাম, আরও গরিব হতে শুরু করেছিলাম। তিনি জানান যে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের বাসিন্দা। তাঁর সাফল্যের কাহিনী তবে শুরু হয় যখন তিনি বিডিএস এর পড়া শুরু করেন। তিনি দিল্লিতে গিয়ে পড়তে শুরু করার সময় ফোন স্ক্রল করছিলেন, তখনই তিনি একটি ভিডিও দেখেন, যাতে ইউটিউবে পয়সা কামানোর পদ্ধতি জানানো হয়।
রকি এরপর ভিডিও বানানো শুরু করে। প্রথম ভিডিও বানানোর সময় ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন অনেকে। এরপর তিনি চেষ্টা করলে তার ফোন ছিনতাই হয়ে যায়। কিন্তু তিনি লাগাতার চেষ্টা করতে থাকেন। তিনি পাঁচ মাস পরে নিজের প্রথম সাফল্য পান। তখন ইউটিউবের তরফ থেকে ২০ হাজার টাকা আসে। আজ তার কাছে হাজার হাজার ফলোয়ার রয়েছে। তিনি ভ্লগ বানান।
তিনি শুরুতে ৫০ হাজার টাকা মাসে পেতেন। এরপর ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ, ৮ লাখ থেকে বেরে মাসে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। তাঁর বাবা তাঁর সঙ্গে নেই। তাঁর মৃত্যু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরিবারের বাকি লোকেরাও তাঁকে ভরসা করতে পারেন না। ছোট ভাই ফোন হারিয়ে যাওয়ার পর নতুন ফোন নিতে সাহায্য করেছিলেন। তাঁকে নতুন আইফোন কিনে দিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য ইউটিউব তাঁর কপাল খুলে দিয়েছে। তিনি লোকেদের পরামর্শ দিয়ে বলেন যে, আশপাশে লোকেদের ইগনোর করুন এবং নিজের কাজ করতে থাকুন এক না একদিন সাফল্য আসবে।