scorecardresearch
 

Subhas Chandra Bose Birthday : গান্ধীজি-নেতাজির প্রথম সাক্ষাতে কী কথা হয়েছিল?

একসময় জাতীয় কংগ্রেসে ছিলেন নেতাজি। এমনকী কংগ্রেসের সভাপতিও নির্বাচিত হন তিনি। প্রায় ২০ বছর জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই বীর বিপ্লবী। যদিও পরবর্তী সময়ে নিজের আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি বদলে ফেলেন নেতাজি, গড়ে তোলেন ফরওয়ার্ড ব্লক। পরবর্তী সময়ে আইএনএ-ও গড়ে তোলেন সুভাষচন্দ্র। 

Advertisement
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও মহাত্মা গান্ধী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও মহাত্মা গান্ধী
হাইলাইটস
  • বম্বেতে সাক্ষাৎ হয় নেতাজি-গান্ধীজির
  • প্রথম সাক্ষাতেই উঠে আসে মতানৈক্য
  • গান্ধীজিকে প্রচুর প্রশ্ন করেন নেতাজি

সোমবার ২৩শে জানুয়ারি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন (Subhas Chandra Bose Birthday)। এবছর ১২৬তম জন্মদিন এই দেশনেতার। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে দেশকে মুক্ত করতে এই বিপ্লবীর আত্মত্যাগ কোনওদিনও ভোলার নয়। একসময় জাতীয় কংগ্রেসে ছিলেন নেতাজি। এমনকী কংগ্রেসের সভাপতিও নির্বাচিত হন তিনি। প্রায় ২০ বছর জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই বীর বিপ্লবী। যদিও পরবর্তী সময়ে নিজের আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি বদলে ফেলেন নেতাজি, গড়ে তোলেন ফরওয়ার্ড ব্লক। পরবর্তী সময়ে আইএনএ-ও গড়ে তোলেন সুভাষচন্দ্র। 

গান্ধীজি-নেতাজির সাক্ষাৎ
কংগ্রেসে থাকার সময় জাতিরজনক মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi), জওহরলাল নেহেরুর মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কাজ করেছেন সুভাষচন্দ্র বসু (Subhas Chandra Bose)। যদিও পরে মতানৈক্যের কারণে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নেতাজি। শোনা যায়, ১৯২১ সালের ১৬ জুলাই ইংল্যান্ড থেকে ফিরে অধুনা মুম্বই তথা তৎকালীন বম্বেতে যান সুভাষচন্দ্র বসু। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২৪। সেই সময় দেশে অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গান্ধীজি। তখন গান্ধীজিও বম্বেতেই ছিলেন। ওইদিন বিকেলেই উভয়ের সাক্ষাৎ হয়। শোনা যায়, সেই সাক্ষাতে গান্ধীজিকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে তুলেছিলেন নেতাজি। গান্ধীজি ছিলেন অহিংস আন্দোলনের পক্ষে। আর সুভাষচন্দ্রের কাছে, ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে যেকোনও উপায়ই ছিল গ্রহণযোগ্য। অর্থাৎ প্রথম সাক্ষাতেই আন্দোলনের পথ নিয়ে গান্ধীজি ও তরুণ সুভাষচন্দ্রের মধ্য়ে ভিন্নমত দেখা যায়। যদিও পরবর্তীতে চিত্তরঞ্জন দাশ সুভাষচন্দ্রকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে প্রবেশ করান। আর তারপর থেকে ২০ বছর জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করেছেন সুভাষচন্দ্র। 

যা বলছেন নেতাজির কন্যা...
গান্ধীজি ও নেতাজির সম্পর্ক প্রসঙ্গে সুভাষচন্দ্র বসুর কন্যা অনিতা বসু পাফ (Anita Bose Pfaff) একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, নেতাজি গান্ধীজিকে খুবই শ্রদ্ধা করতেন। তবুও গান্ধীজি ও তাঁর বাবার সম্পর্ক জটিল ছিল। গান্ধীজি মনে করতেন তিনি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। অনিতা বসু পাফ আরও মনে করেন, গান্ধীজি ও নেতাজি, দু'জনেই ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের 'হিরো' ছিলেন। একের অপরের সাহায্য ছাড়া হত না। কিন্তু কিছু কংগ্রেস নেতা দীর্ঘ দিন ধরে দাবি করে আসছেন যে, একমাত্র অহিংস আন্দোলনেই স্বাধীনতা পেয়েছে ভারত, সেটা ঠিক নয়। কারণ স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি ও আইএনএ-র কর্মকাণ্ডের কথা সবাই জানে।

Advertisement

আরও পড়ুন - ছোট বেলায় লম্বা, বড় হলে বেঁটে, বলো তো আমি কে?

 

Advertisement