রাজধানী দিল্লিতে ফের সেজে উঠল 'সাহিত্য আজতক'-এর মঞ্চ। আজ থেকেই শুরু হল দেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চার সবচেয়ে বড় আসর। আজ অর্থাত্ শুক্রবার মেজর ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়ামে 'সাহিত্য আজতক' উদ্বোধন করলেন ইন্ডিয়া টুডে গোষ্ঠীর ভাইস চেয়ারপার্সন কলি পুরী। রবিবার পর্যন্ত চলা এই সুবিশাল সাহিত্য-যজ্ঞে অংশ নিচ্ছেন ৩০০-র বেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
'সাহিত্য আজতক ২০২৩'-এর উদ্বোধনী ভাষণে ইন্ডিয়া টুডে গোষ্ঠীর ভাইস চেয়ারপার্সন কলি পুরী বললেন, 'সাহিত্য আজতক-এ আপনাদের সকলকে স্বাগত। কিছু দিন আগেই আমরা ক্রিকেট বিশ্বকাপে হেরে গিয়েছি। আপনাদের সকলের মতো আমারও খুব দুঃখ হয়েছে। কিন্তু উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে ১৩ দিন ধরে আটকে পড়া শ্রমিকদের আমরা বাঁচাতে পারবো। এত বড় দেশে কিছু কিছু ভাল খবর ও কিছু খারাপ খবর হতেই থাকে। জীবন তো আপ ডাউনেই চলে। শুধু এটুকু মনে রাখতে হবে, আপনার পাশে কে দাঁড়িয়ে আছে। কিছু বন্ধু শুধুাত্র পার্টির জন্য থাকে, কিছু বন্ধু থাকে শুধু হাই-হ্যালো, তারপর কিছু বন্ধু থাকে, যারা সুখ ও দুঃখে সর্বদা দাঁড়ায়। খুশির সময় তো বটেই, দুঃখের সময় আরও বেশি করে পাশে থাকে। আসল বন্ধু, সত্যিকারের বন্ধু। যেমন আমরা ও আপনারা। দর্শক ও দেশের সবচেয়ে প্রিয় নিউজ চ্যানেল আজতক।'
কলি পুরী বলেন, 'আমরা আপনাদের পাশে সব সময় আছি। আমাদের সম্পর্ক ভালবাসা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার। তাই এত স্পেশাল। সাহিত্য আজতক সেই বন্ধুত্বেরই উদযাপন। আমাদের সঙ্গে আপনাদের ফ্রেন্ডশিপ ডে। এই প্ল্যানিংয়ে গোটা নিউজ রুম লেগে পড়ে। সব রিপোর্টাররা অক্লান্ত পরিশ্রম করেন, যেন বাড়িতে কারও বিয়ে। আর আপনারাও সর্বাত্মক ভাবে পাশে থাকেন, এখানে যোগদান করে। সাহিত্য আজতক-এ আমাদের প্রয়াস থাকে, আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রাচীন পরম্পরা যেমন, কবি সম্মেলন, শমা-ই-মহফিল, গজলকে উত্সাহ দিতে পারি। সঙ্গে সেই সব শিল্পীদেরও যুক্ত করতে পারি, যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আমাদের সাহিত্যকে জনপ্রিয় করে তুলছেন।'
কলি পুরীর কথায়, সাহিত্য আজতক-এর দুনিয়া অনন্য। এটি নামী ও উদীয়মান তারকাদের মিলনমেলা। এক মঞ্চ, একই ইভেন্টে। এই আসর মাত্র দু দিন ও দুটি মঞ্চ দিয়ে শুরু হয়েছিল। ১০০ অতিথি মঞ্চে এসেছিলেন। এখন এই সাহিত্যের মহাকুম্ভ তিন দিনের, ৩২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। দিল্লির সঙ্গে সঙ্গে এই সফর লখনউ ও কলকাতাতেও পৌঁছে গিয়েছে। এই বছর আমরা একটি নতুন স্টেজ যুক্ত করেছি, সাহিত্য আজতক OTT। কারণ আমাদের জীবনে OTT-র এন্ট্রি নতুন। এখানকার শিল্পী, লেখকরা আপনাদের অনুপ্রেরণা জোগাতে পারেন। তাঁদের আপনারা শেখারও সুযোগ পাবেন। তাই এটি আমরা যুক্ত করেছি। এই বছর আমরা সাহিত্য জাগৃতি সম্মান শুরু করছি। ৯টি পুরস্কার ভারতীয় ভাষার নবরত্ন। এবং শেষে 'মাইক কা লাল', আপনাদেরই প্ল্যাটফর্ম। এখানে নতুন কবিরা নিজেদের কবিতা শেয়ার করতে পারেন। একজন শায়রের তো অডিয়েন্সই দরকার লাগে। এবছরও আমাদের মেল বক্স 'মাইক কা লাল'-এর রেজিস্ট্রেশনে ভরে গিয়েছে। অতএব ওঁদের উত্সাহ বাড়ান। বলা যায় না, ওঁদের দেখে আপনিও হয়তো আগামীর জাভেদ আখতার বা কুমার বিশ্বাসকে শুনছেন। মন থেকে অনুষ্ঠানটি তৈরি করেছি। আশা করি, আপনাদের মন ছুঁয়ে যাবেই।