থিম পুজো কিছুকাল আগে পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল দুর্গোপুজোতে। পরে সেই থিম ভাবনা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে অন্যান্য পুজোতেও। যেমন বারাসতে কালীপুজো হয় ঘটা করে। সঙ্গে থাকে থিম ভাবনা। এবার থিমপুজো সরস্বতী পুজোতেও। কালনায় বছরের অন্যতম বড় উৎসব সরস্বতী পুজো। গত দুবছর তাতে বাধ সেধেছিল করোনা। এবার তাই উৎসাহ, জাকজমক অনেক বেশি।
পূর্ব বর্ধমানে কালনা, যা মন্দির শহর বলেই পরিচিত, বছরের সেরা উৎসব সরস্বতী পুজো। বিশাল বিশাল মণ্ডপ, আলোকসজ্জা এখানের সরস্বতী পুজোর অন্যতম বিশেষত্ব। থিমের মন্ডপের পাশাপাশি মূর্তিতেও রয়েছে থিমের ছোঁয়া। আয়োজন করা হয়েছে লেজার শোরও।
সরকারি মতে ৭৬টি বড় পুজো, বেসরকারি মতে প্রায় দেড়শোরও বেশি পুজো হয় কালনায়। কালনা শহরে দুর্গাপুজোর থেকেও বড় উৎসব সরস্বতী পুজো। কালনার সরস্বতী পুজো এখানকার দূর্গোৎসব। কলকাতায় দুর্গোৎসবে যেমন ঘটা করে পালিত হয়, পূর্ব বর্ধমানের কালনায় দুর্গোপুজোর মতো বিরাট আকারে পুজো হয় সরস্বতীর।
এই শহরে লক্ষ লক্ষ টাকা বাজেটের পুজো হয়। কোথাও খবরের কাগজ , কোথাও ফেলে দেওয়া জিনিস, কোথাও বাঁশ দিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। হারিয়ে যাওয়া শিল্পকে থিমের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন কালনার বিভিন্ন ক্লাবকর্তা। বড় পুজোর মধ্যে বেশিরভাগই থিমের পুজো। থিম পুজোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম জাপটের অগ্নিবীণা, এই ক্লাবের এবারের পুজোর থিম এক ফালি পুরুলিয়া। মণ্ডপ সাজিয়ে তোলা হয়েছে খড়, পাটকাঠি, কাপড়, তেঁতুল গাছের ছালের, পালক-সহ অন্যান্য উপকরণের সাহায্যে। জিউধারা বারোয়ারির মণ্ডপ আবার তৈরি হয়েছে খবরের কাগজ দিয়ে। মণ্ডপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে দেড় কুইন্টালের বেশি সংবাদপত্র। সপ্তর্ষী সংঘের মণ্ডপের থিম ‘টুইন টাওয়ার’। রুপালিকার মণ্ডপের থিম বরফের দেশ। তরুণ সমিতির মণ্ডপের থিম সুন্দরবন। এককথায় কালনার সরস্বতী পুজো ঘিরে শহরবাসীর উন্মাদনা এখন তুঙ্গে।