চলন্ত ট্রেনেই আচমকা প্রসূতি সদন, মেরি সহেলির দক্ষতায় জন্মালো পুত্র সন্তান

চলন্ত ট্রেনে আচমকা প্রসব যন্ত্রণা। রেলের হেল্পলাইনে ফোন করতেই হাজির মেরি সহেলি। ট্রেন বদলে গেল অস্থায়ী প্রসূতি সদনে। সুস্থ পুত্র সন্তান জন্ম দিলেন মা। সুস্থ দুজনই। খুশি পরিবার।

Advertisement
চলন্ত ট্রেনেই আচমকা প্রসূতি সদন, মেরি সহেলির দক্ষতায় জন্মালো পুত্র সন্তানমেরি সহলি-র সহযোগিতায় পুত্র জন্ম দিল ট্রেনে সফররত মা
হাইলাইটস
  • চলন্ত ট্রেনে পুত্র সন্তান জন্ম দিল প্রসূতি
  • আরপিএফের মেরি সহেলি-র সাহায্য
  • মা-বাচ্চা দুজনই সুস্থ, খুশি পরিবার

গর্ভবতী মহিলার ডাকে স্টেশনে হাজির 'মেরি সহেলি'। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা করা হল চিকিৎসক থেকে নার্সদের। মালদা টাউন স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থামতেই তৈরি করা হলো কোচের ভিতরে অস্থায়ী প্রসব ঘর।সেখানেই মা জন্ম দিলেন স্বাভাবিক পুত্র সন্তান। খুশির হাওয়া রেল যাত্রী, থেকে আরপিএফ ,রেল চিকিৎসক ও কর্মীদের মধ্যে। বর্তমানে মা ও সন্তান মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাতৃমা বিভাগে চিকিৎসায় রয়েছেন। মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ রয়েছেন।

হেল্পলাইনে ফোন করেই মেলে সহায়তা

আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের ডালগাঁও থানার অন্তর্গত বড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা নাসিরউদ্দিন আলf ও তার গর্ভবতী স্ত্রী জামিলা খাতুন, ডাউন গুয়াহাটি বেঙ্গালুরু স্পেশাল ট্রেনে করে অসম থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন। এসি ২ এর বি কোচ এর ১৩ ও ১৪ নম্বর সিট তাদের ছিল। জামিলা খাতুন গর্ভবতী ছিলেন। মালদা টাউন স্টেশনে ট্রেনটি ঢোকার মুহূর্তে তার অস্বাভাবিক প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। সাথে সাথেই তারা রেলের হেল্পলাইন নাম্বার ফোন করে বিষয়টি জানান।

দক্ষতার সঙ্গে বিপদ সামাল দেন মেরি সহেলি-র সদস্য়রা

মালদা টাউন স্টেশন ম্যানেজার বিষয়টি শুনামাত্রই আরপিএফকে বিষয়টি জানায়। আরপিএফ এর মহিলা মেরি সহেলি টিম রেলের ডাক্তার ও নার্সদের সাথে নিয়ে মালদা টাউন স্টেশন এর এক নম্বর প্লাটফর্মে দ্রুত চলে আসে। ট্রেনটি যখন মালদা টাউন স্টেশনে ঢুকে মাত্রই ওই মহিলার কাছে পৌঁছে যায়। প্রসব যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে কোচের ভিতর  ই অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি হয় সেখানে ডাক্তার নার্স সহযোগিতায় সন্তান জন্মগ্রহণ দেন জামিলা খাতুন।

সাহায্য করতে পেরে খুশি আরপিএফও

বুধবার দুপুরে মালদা টাউন স্টেশন, আরপিএফ ইন্সপেক্টর ভিবি শর্মা জানান, ট্রেনের মধ্যেই পুত্র সন্তানের জন্ম দেন জামিলা খাতুন। পুত্র সন্তান জন্ম নেওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি থাকায় রেল চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা রাতেই রেলের অ্যাম্বুলেন্স করে মা ও ছেলেকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তারা দু'জনই ভর্তি রয়েছেন। তবে বর্তমানে দুজনেই সুস্থ রয়েছেন। বিপদের আশঙ্কা নেই।

Advertisement

আহ্লাদে আটখানা সদ্যোজাত-র মা

আর মাঝরাস্তায় এমন নাটকীয়ভাবে "মেরে সহেলি"-র সহায়তায় সুস্থ সন্তান প্রসব করে আহ্লাদে আটখানা সদ্যোজাত-র মা। এত তড়িঘড়ি কাজ করতে না পারলে, জীবন বিপন্ন হতে পারত আমার এবং আমার সন্তানের। প্রতিক্রিয়া মায়ের।

 

POST A COMMENT
Advertisement