আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপের (ICC T20 World Cup 2022) সুপার-১২-এর লড়াইয়ে প্রথম ম্যাচ ২২ অক্টোবর। অস্ট্রেলিয়ার পিচে টি২০ বিশ্বকাপে ফাস্ট বোলারদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। দুই দলেই এমন কয়েকজন ফাস্ট বোলার রয়েছেন যাদের ওপর নজর রাখতে হবে। দেখে নেওয়া যাক এমন কয়েকজন ফাস্ট বোলারকে যারা তাদের দলের হয়ে ম্যাচ বের করে আনতে পারেন।
হাঁটুর চোট কাটিয়ে দলে ফিরছেন ফাস্ট বোলার শাহীন শাহ আফ্রিদি (Shaheen Afridi)। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজকে যে ভাবে এলবিডব্লিউ আউট করেছেন তাতে ব্যাটাররা ভয় পেতে বাধ্য।
২০২১ বিশ্বকাপে প্রথম স্পেলেই ভারতীয় ব্যাটারদের একের পর এক আউট করে ম্যাচ নিজেদের পকেটে তুলে নিয়েছিলেন শাহিনরা। গতির সঙ্গে সুইং এটাই শাহিনের মূল অস্ত্র। অস্ট্রেলিয়ার পিচে যা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।
অস্ট্রেলিয়া দলের বোলিং-এ বড় ভূমিকা নিতে দেখা যেতে পারে যশ হ্যাজেলউডকে (Josh Hazlewood)। দারুণ লাইনে টানা বল করে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে অজি বোলারের। যা ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলতে বাধ্য। হ্যাজেলউড ৩৭টি টি২০ ম্যাচে ৫৩টি উইকেট নিয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের বোলিং-এ নেতৃত্ব দেবেন লকি ফার্গুসন (Lockie Ferguson)। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অন্যতম সেরা বোলার তিনি। ফার্গুসনের আগ্রাসন, গতি এবং বৈচিত্র্য রয়েছে। তাঁর অতিরিক্ত পেস সমস্যায় ফেলে ব্যাটারদের। শর্ট বলেও বৈচিত্র আনার চেষ্টা করেন কিউই বোলার।
ভারতীয় দলে রয়েছেন মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। অভিজ্ঞ এই ফাস্ট বোলার প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক ওভারেই চারটি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। নতুন বলে সুইং করানোর ক্ষমতার পাশাপাশি ডেথ ওভারেও রোহিতদের ভরসা হয়ে উঠতে পারেন শামি।
ইংল্যান্ডের মার্ক উড (Mark Wood) করাচি স্টেডিয়ামে ১৫৬ কিলোমিটার বেগে বল করে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন। তাঁর গতি ব্যাটারদের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর রেকর্ড বেশ ভাল। টি২০ ফরম্যাটে প্রতি ১৪ বলে একটি করে উইকেট তুলে নেন তিনি।