মেসি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেশের হয়ে সফল নন। কম সমালোচনা শুনতে হয়নি তাঁকে। যখনই ব্যর্থ হয়েছেন বারবার চোখা তিরে বিদ্ধ হতে হয়েছে।
সৌদি আরবের বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত হারে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। কেউ কেউ তো সৌদিকে ম্যাচ ছাড়া হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন। যা চুপচাপ হজম করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না।
সব জবাব দেওয়ার ছিল। কারণ এটাই সম্ভবত এই আর্জেন্টানিয় মহাতারকার শেষ বিশ্বকাপ। আর বিশ্বকাপের চেয়ে বড় মঞ্চ আর তো কিছু নেই।
তবে বেশ সময় নেননি দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনার যোগ্য উত্তরসূরিরা। মেক্সিকো ম্যাচ থেকেই বদলে গিয়েছেন তাঁরা। বলা ভাল নিজেদের অরিজিনাল মোডে ফিরে গিয়েছেন।
অরিজিনিলাই বটে। কারণ যাঁরা ২০১৯ সালের পর ম্যাচ হেরেছেন ২০২২ এ বিশ্বকাপে এসে। ম্যাচের হিসেব ধরলে ৩৬ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর তাঁরা আটকে যাওয়ায় আশঙ্কার কালো মেঘ দেখা দিয়েছিল।
অবশেষে দলের অধিনায়ক এবং বর্তমান বিশ্বের অবিসংবাদী ফুটবল নায়ক লিওনেল মেসি জ্বলে উঠলেন এবং মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গোল করে যে টিউন সেট করে দিলেন, সেখান থেকে আর ফেরার জায়গা ছিল না।
অবশেষে দলের অধিনায়ক এবং বর্তমান বিশ্বের অবিসংবাদী ফুটবল নায়ক লিওনেল মেসি জ্বলে উঠলেন এবং মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গোল করে যে টিউন সেট করে দিলেন, সেখান থেকে আর ফেরার জায়গা ছিল না।
অস্ট্রেলিয়ার এমনিতে বিশ্বকাপ মূলপর্বে ওঠার কথাই ছিল না। খানিকটা ভাগ্যের জোরে উঠেছিল বলা যায়। তবু গ্রুপ লিগে কিছুটা অপ্রত্যাশিত ও গতির লড়াইয়ে মাত দিয়ে তারা উঠে গিয়েছিল প্রি-কোয়ার্টারে।
তবে এটাও ঠিক গত এক বছরে তারা আর্জেন্টিনার মতো দলের মুখোমুখিও হননি শনিবারের আগে পর্যন্ত। আর যেভাবে তাঁরা খেললেন তাতে জয়ের তাগিদের চেয়ে হার বাঁচানোর আর্তি ছিল।
আগাগোড়া ১১ জনে ডিফেন্স করলে আর যাই হোক বড় দলের বিরুদ্ধে জেতা যায় না। আগে নিজেরা গোল করে রেখে ডিফেন্ড করতে গেলে তাও মানা যেত। কিন্তু প্রথম থেকেই খোলসে ঢুকে পড়লেন ক্যাঙ্গারুরা। আর খোলস ভেদ করতে সিদ্ধহস্ত লিওনেল মেসি সুযোগ পেয়ে নষ্ট করেননি।