ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে মিতালি রাজ গত দু দশক থেকে ভারতীয় ক্রিকেটে একটা বড় নাম। দীর্ঘদিন খেলার সুবাদে তিনি এখন এককভাবে মহিলাদের ক্রিকেটে বিশ্বের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
মিতালি রাজ রাজস্থানের যোধপুরে ১৯৮২ সালের ৩ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। বাবা বিমানবাহিনীর অফিসার ছিলেন। তিনিই খেলাধূলায় প্রাথমিক উৎসাহ দেন।
১৭ বছর বয়সেই তাঁকে ভারতীয় দলের জন্য প্রথম বাছাই করা হয়। ১৯৯৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার এক দিবসীয় ম্যাচের মধ্য দিয়ে অভিষেক হয়।
মিতালী অবশ্য তার অভিষেক ম্যাচেই ১১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ২০০২ মরশুমে তাঁর টেস্ট অভিষেক হয় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে লখনৌতে।
২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টে ২১৪ রান করে প্রাক্তন বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে ফেলেন। ভারতের হয়ে ওয়ানডে এবং টি টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন মিতালি।
২০১৭ সালে তিনি ওয়ানডে ক্রিকেটে ছয় হাজার রান করা বিশ্বের প্রথম খেলোয়াড় হন। ২০১৩ সালে ভারতীয় মহিলা দল ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছায়। পরে ফাইনালে হেরে গেলেও তাঁর খেলার প্রশংসা হয়।
২০০৯ সালে তিনি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে নেন। ২০২১ এ বিশ্বকাপে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করার লক্ষ্য রয়েছে তাঁর। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বহু খেলোয়াড় এলেও এত বছর ধরে জাতীয় দলে তাঁর গুরুত্ব বজায় রাখেন তিনি।
টানা ২২ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন মিতালী রাজ। মেয়েদের ক্রিকেটে এই রেকর্ডের ধারে কাছে নেই কেউ। এমনকী ছেলেদের ক্রিকেট ধরলে শচীন তেন্ডুলকর ছাড়া আর কারও এই রেকর্ড নেই।
১৯৯৯ সালে ২৬ জুন অভিষেক ঘটে মিতালীর। তারপর থেকে সেই যাত্রা আজও অব্যাহত। ভারতের মহিলা দল এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে দুই দল।
লম্বা ক্রিকেট কেরিয়ারের হিসেবে মিতালির তুলনা শুধুই সচিন। ২২ বছর ৯১ দিন একদিনের ক্রিকেটে খেলেছিলেন সচিন। ৪৬৩টা ম্যাচ খেলেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার।
এখনও অবধি মিতালি খেলেছেন ২১৫টি একদিনের ম্যাচে। শচীনের সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলা হয়তো তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়, কিন্তু সময়ের হিসেবে শচীনকে ছাড়িয়ে যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব।