ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএল এর ১৫ তম সিজন শুরু হতে চলেছে। আর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস এর মধ্যে মোকাবিলা দিয়ে লিগ শুরু হবে। এই ম্যাচের স্টেডিয়ামে খেলা হবে। এই বছর আইপিএল মহারাষ্ট্রের তিনটি খেলা হবে বলে ঠিক হয়েছে করোনা। প্রতিবন্ধকতার কারণে সমস্ত ম্যাচ হবে মুম্বই, নবি মুম্বাই এবং পুনেতে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএল এর এখনও পর্যন্ত ব্যাটিংয়ে যারা প্রতিপক্ষের হোঁশ উড়িয়েছেন তাদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা সবচেয়ে বেশি সফল। এই লিগে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রান বানানো ৫ খেলোয়াড়ের মধ্যে চারজনই ভারতীয়। এর মধ্যে শুধুমাত্র এক ডেভিড ওয়ার্নার একমাত্র বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম পাঁচে রয়েছেন।
আইপিএলে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রান করা কোনও ক্রিকেটারের নাম কিন্তু বিরাট কোহলিই। হতে পারে তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি এখনও পর্যন্ত ট্রফির স্বাদ পায়নি। কিন্তু তাতে বিরাট কোহলির কীই বা আসে যায়! তিনি নিজের কাজ করে গিয়েছেন আইপিএল জুড়েই। এই লিগে এখনও পর্যন্ত কোহলি ২৬০ টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। যাতে তিনি ৬২৮৩ রান করেছেন। বিরাট কোহলির পাঁচটি সেঞ্চুরি এবং ৪২ টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। ২০১৬ তে বিরাট কোহলি ষোলটি ম্যাচে ৯৭৩ রান করেন এবং অরেঞ্জ ক্যাপ হাসিল করেছিলেন।
এই মুহূর্তে নড়বড়ে অবস্থায় থাকা ওপেনার শিখর ধাওয়ান আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। শিখর ১৯২ টি ম্যাচ খেলেছেন। তার ২ টি সেঞ্চুরি এবং ৪৪ টি হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে ৫৭৮৪ রান করেছেন। শিখর ধাওয়ান এখনও পর্যন্ত একবারও অরেঞ্জ ক্যাপ পাননি। কিন্তু তিনি ধারাবাহিকভাবে রান করে গিয়েছেন।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা পাঁচবার টফি এনে দিয়েছেন দলকে। পাশাপাশি তিনি দলকে নির্ভরতা যুগিয়েছেন ২১৩ টি আইপিএল ম্যাচ খেলে একটি সেঞ্চুরি এবং চল্লিশটি হাফ সেঞ্চুরি সঙ্গে ৫৬১১ রান করে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
সুরেশ রায়নাকে মিস্টার আইপিএল বলা হয়। তিনি চেন্নাই সুপার কিংস এবং গুজরাট লায়ন্স এর দুর্দান্ত প্রদর্শন করেছেন। সুরেশ তিনি সবচেয়ে বেশি রান বানানোর খাতায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। আইপিএলে ২০৫ টি ম্যাচ খেলে তিনি ৫৫২৮ রান করেছেন। লাগাতার রান করা সত্বেও রায়না কখনও অরেঞ্জ ক্যাপ পাননি। যদিও এই সিজনে সুরেশ রায়না রান সংখ্যা বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই। তার কারণ তাকে কোনও দল এবার কেনেনি।
ডেভিড ওয়ার্নার লিস্টে একমাত্র বিদেশি খেলোয়াড়, যিনি আইপিএলে তিনবার অরেঞ্জ ক্যাপ জিতেছেন। যদিও তিনি খেলেছেন অনেক কম ম্যাচ। তিনি ১৫০টি ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরি এবং ৫০ টি হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে ৫ হাজার ৪৪৯ রান করেছেন।