আগের সাত ইনিংসে একটাও হাফ সেঞ্চুরি আসেনি। তবে আইপিএল-এর মেগা নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে দলে নিতেই জ্বলে উঠলেন অজিঙ্কা রাহানে। কেকেআরে যোগ দেওয়ার আগে শেষ ৮টি ইনিংসে রাহানের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ২৯, ১২, ৩১, ৩৫, অপরাজিত ৪৮, ০, ১৯ ও ১৩ রান।
মেগা নিলামে কেকেআরে ফেরার পরেই মুস্তাক আলির টানা ২টি ম্যাচে মারকাটারি হাফ-সেঞ্চুরি করেন রাহানে। অর্থাৎ, এটা স্পষ্ট যে, জাতীয় দল থেকে দূরে থাকা অজিঙ্কা নতুন উদ্যমে মাঠে নামছেন নিজেকে প্রমাণ করতে। বুধবার মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মুস্তাক আলির ম্যাচে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ৫২ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন রাহানে। শুক্রবার কেরলের বিরুদ্ধে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। রাহানে শেষমেশ ৩৫ বলে ৬৮ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে আউট হন। রাহানে মোট ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন।
হায়দরাবাদের উপ্পলে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির-ই গ্রুপের ম্যাচে কেরলের কাছে ৪৩ রানে পরাজিত হয় মুম্বই। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কেরল। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৪ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। ওপেন করতে নেমে ৪ বলে ৪ রান করে আউট হন সঞ্জু স্যামসন। ৪৮ বলে ৮৭ রান করেন রোহন কুন্নমাল। তিনি ৫টি চার ও ৭টি ছক্কা মারেন। নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন সলমন নিজার। তিনি ৪৯ বলে ৯৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারেন ৫টি চার ও ৮টি ছক্কা। মুম্বইয়ের হয়ে মোহিত আবস্তি ৪ ওভারে ৪৪ রান খরচ করে ৪টি উইকেট দখল করেন। ১টি উইকেট নিলেও বিস্তর মার খান শার্দুল ঠাকুর। তিনি ৪ ওভারে ৬৯ রান খরচ করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৯১ রানে আটকে যায়। রাহানের হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়া ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার করেন ১৮ বলে ৩২ রান। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। পৃথ্বী শ ১৩ বলে ২৩ রান করে আউট হন। তিনিও ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। কেকেআরের অংকৃষ রঘুবশী করেন ১৫ বলে ১৬ রান। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।