ডার্বি জিতেই আনোয়ার আলি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। আসলে কলকাতা লিগের ডার্বি ম্যাচের মাঝেও, আনোয়ারকে দলে কারা পাবে তা নিয়ে জল্পনা চলেছে। ইস্টবেঙ্গল অবশ্য এ ব্যাপারে বিশেষ কিছু জানাতে চায়নি প্রথম থেকেই। কিন্তু শোনা যাচ্ছিল, ভারতীয় দলের ডিফেন্ডারকে পেতে আসরে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শুধু তাই নয়, খবর ছিল, লাল-হলুদ শীর্ষকর্তারাই চন্ডীগড়ে গিয়ে তাঁকে সই করিয়ে এসেছেন।
তবে বেঁকে বসে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। আনোয়ার তাদের ফুটবলার বলে দাবি তাদের। গোটা ঘটনা প্লেয়ার স্টেটাস কমিটির কাছে চলে গিয়েছে। তবে ডার্বি জিতে দেবব্রত সরকার বলেন, 'এখানে আমরা নেই। এখন ব্যাপারটা মোহনবাগানের সঙ্গে দিল্লি এফসি-র। কী হয় দেখা যাক।' তবে আনোয়ারকে পেতে যে তাঁরা আগ্রহী তা কিন্তু স্পষ্ট হয়েছে লাল-হলুদ শীর্ষকর্তার কথায়। ডার্বি জেতায় দলের খেলা নিয়ে বেশ খুশি দেবব্রত। তবে ম্যাচের রেফারি প্রাঞ্জল বন্দোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বলেন, 'ম্যাচের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ প্রাঞ্জল। ও অনেক বড় রেফারি। আমি জানি না বড় ম্যাচ এলে ও কেন এমন কিছু সিদ্ধান্ত দেয়।' ঠিক কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি রেফারির দিকে আঙুল তুলছেন তা স্পষ্ট না করলেও, দেবব্রত আরও বলেন, 'আমি বলছি না যে ও ইচ্ছে করে করে। তবে ভবিষ্যতে আইএফএ-কে বলব এটা নজর রাখতে।'
এই রিজার্ভ দল থেকে এবারেও একাধিক ফুটবলার সিনিয়র দলে সুযোগ পাবে বলেই মনে করেন দেবব্রত। শীর্ষকর্তা বলেন, 'দল ভাল খেলেছে। তবে আরও ভাল খেলতে হবে। আমার মনে হয় এবারেও অন্তত দুই জন ফুটবলার এখান থেকে সিনিয়র দলে সুযোগ পাবে। আমাদেরও সেই রকমের পরিকল্পনাই রয়েছে। তবে আরও ১০-১৫ জন ফুটবলার আমাদের দলে রয়েছে। একে একে তাদের সামনে আনা হবে।'
এদিন শেষের কিছুটা সময় ছাড়া ম্যাচে সেভাবে প্রভাবই ফেলতে পারেনি মোহনবাগান। প্রথমার্ধে সুগোয পেলেও গোল করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সবুজ-মেরুন ডিফেন্সের ভুলে ২ গোল তুলে নেয় লাল হলুদ। গোল করেন পিভি বিষ্ণু ও জেসিন টিকে। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে টাইসন সিং-এর সেন্টার থেকে হেডে গোল করে ব্যবধান কমান সুহেল ভাট। তবে তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। সমতাই ফেরাতে পারেনি তারা। ৭৬ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের জোসেফ জাস্টিন। বল কাড়ার লক্ষ্যে মোহনবাগানের ফুটবলার সালাউদ্দিনের উদ্দেশে লাথি চালিয়েছিলেন জোসেফ জাস্টিন। কিন্তু সেই লাথি লাগে সুহেরের পায়ে। তবুও লাল কার্ড দেখানো হয় জোসেফকে।