আনোয়ার আলি (Anwar Ali) কোন দলের? মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant) নাকি তাঁদের চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)! এই ব্যাপারে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার (AIFF) প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির বৈঠক আজ। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, দিল্লি এফসি এবং আনোয়ার আলির।
তার আগে ৮ আগস্ট সব পক্ষের নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল। তবে শুক্রবার সকালে অর্থাৎ শুনানির ঠিক একদিন আগে হঠাৎই জানা যায় ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি নাকি এই ব্যাপারে তাঁদের সমস্ত কাগজপত্র জমা দিতে আরও দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কী কিছুটা হলেও ব্যাক ফুটে ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি।
পাশাপাশি শনিবার বিকেলে এই ব্যাপারে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'হ্যাঁ আমাদের প্রতিনিধি শনিবার পিএসসির মিটিংয়ে উপস্থিত থাকবেন। তবে আনোয়ারের বিষয়ে আমরা এর বেশি আর কিছু বলতে চাই না।'
এ ব্যাপারে দিল্লি এফসি কর্ণধার রঞ্জিত বাজাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়ে দেন, 'আমরা পিএসসির কাছে শুধুমাত্র ক্ষতিপূরণের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ উত্তর দিতে দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছি। দশ তারিখ আনোয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে বৈঠক রয়েছে, সেইদিন পরিবর্তনের কোনও আর্জি আমরা জানাইনি। সেই বিষয়ে কাগজও জমা পড়েছে। বৈঠকে আমরা অবশ্যই থাকবো। এই ব্যাপারে যা প্রচার করা হচ্ছে তা পুরোপুরি মিথ্যা।'
অন্যদিকে এই বিষয়ে ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি দুই পক্ষকেই, চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। তিনি বলেন, 'রঞ্জিত বাজাজ ইস্টবেঙ্গলের নতুন কর্তা। লাল-হলুদ কর্তাদের বদলে উনি জানাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল পিএসসির মিটিংয়ে থাকবে। উনি দিল্লি নিয়ে বলতে পারেন, কিন্তু তার বদলে ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে বলছেন। তবে আমরা চাই দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক।'