পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দারুণ খেললেও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দাগ কাটতে পারলেন না ভারতের ব্যাটাররা। শুরু ভালো হলেও, স্পিনাররা বল করতে আসতেই সমস্যায় পড়তে দেখা যায় ভারতীয় দলের ব্যাটারদের। প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে স্পিনাররা চিরকালই কিছুটা সুবিধা পান। কুলদীপ যাদবের ক্ষেত্রেও এটাই দেখা গিয়েছিল। তবে স্পিনারদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের সমস্যা কেন হল? জেনে নেওয়া যাক রোহিতদের ব্যর্থতার চার কারণ
পরপর দুই দিন ম্যাচ খেলার ক্লান্তি
রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও, সেদিন বৃষ্টির জন্য তা ভেস্তে গিয়েছিল। ফলে রিজার্ভ ডেতে ম্যাচ গড়ায়। সোমবার পাকিস্তানকে হারানোর পর, মঙ্গলবারই ম্যাচ খেলতে হয় ভারতীয় দলকে। খুব বেশি সময় পাননি টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা। এই অবস্থায় ব্যাট করতে নামায় কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। পেস বোলাররা যখন বল করেছেন তখন কিছুটা দাপট দেখা যায় ভারতীয় ব্যাটারদের কাছ থেকে। উইকেট না হারিয়ে ৮০ রান করে ফেললেও দুনিথ ওয়েল্লালাগে (Dunith Wellalage) বল করতে আসতেই উইকেট হারাতে থাকে ভারত।
ব্যাকফুটে খেলতে না পারা
ভারতীয় দলের ব্যাটাররা শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের বলের লেন্থই বুঝতে পারেননি। কোন বল ফ্রন্টফুটে খেলা উচিত আর কোন বল ব্যাকফুটে খেলা উচিত তা বুঝতেই পারেননি শুভমন গিল, হার্দিক পান্ডিয়ারা। ব্যাকফুটের সঠিক ব্যবহার করতে পারলে, সিঙ্গল নেওয়ার সুযোগ হতে পারত। সেটাই করতে পারেননি ভারতের ব্যাটাররা। সামনেই বিশ্বকাপ। ভারতের উইকেটেও বল স্পিন করবে। ফলে সেখানেও একই সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস
ভারতীয় ব্যাটাররা পাকিস্তানকে হারানোর পরই কিছুটা আত্মতুষ্ট হয়ে পড়েছিলেন। যেভাবে বিরাট কোহলি বা হার্দিক পান্ডিয়ারা আউট হলেন, তা দেখে সেরকমই মনে হয়েছে। তবে তাঁরা যদি আরও কিছুটা সময় উইকেটে কাটাতে পারতেন তা হলে ভারতীয় দলের রান দারুণ জায়গায় পৌঁছে যেতে পারত।
উইকেট থেকে সুবিধা পাচ্ছেন স্পিনাররা
প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে উইকেট থেকে সাহায্য পাচ্ছেন স্পিনাররা। বল ঘুরছে। কিছুটা থমকে ব্যাটে আসছে বল। ফলে বেশ কঠিন হচ্ছে স্পিনারদের বিরুদ্ধে শট মারা। ভারতীয় দলে ৩ স্পিনার রয়েছেন। তাঁরা যদি ভালো বল করতে পারেন তা হলে ভারতীয় দলের সুবিধা হতে পারে।
ভারতের প্লেয়িং ইলেভেন
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), ইশান কিষাণ, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, জাসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ।