পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট তুলে ভারতীয় দলকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই ফের শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৪ উইকেট নিয়ে টিম ইন্ডিয়াকে ফাইনালে তোলার অন্যতম বড় নায়ক কুলদীপ যাদব। দুই ম্যাচে মোট ৯ উইকেট।
প্রেমদাসায় স্পিনাররা বরাবর সাহায্য পান। সেই কথা মাথায় রেখেই তিন স্পিনার খেলিয়েছিল ভারতীয় দল। কুলদীপ সেখানে সবচেয়ে সফল। ভারতের ইনিংস চলাকালীনই বোঝা গিয়েছিল এই উইকেটে বড় রান করা সহজ হবে না। ২১৩ রানে সব উইকেট হারায় ভারতীয় দল। সবচেয়ে উল্ল্যেখযোগ্য বিষয় হল, ১০টা উইকেটই স্পিনারদের নেওয়া। ওয়েল্লালাগের দাপটের সঙ্গে বল করে ৫ উইকেট নেন। চার উইকেট চরিথ আসালাঙ্কা। আরেক স্পিনার মহেশ তিক্ষনা আরও একটি উইকেট তুলে ২১৩ রানে শেষ করেন ভারতের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ রানেই প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। জসপ্রীত বুমরা পরপর দুটি উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপদ বাড়িয়ে দেন।
সমরবিক্রম ও আসালাঙ্কা দারুণ জুটি গড়ে তোলেন। মনে হচ্ছিল তাঁরাই ম্যাচটা বের করে নিয়ে যাবেন। ৬২ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। তবে আঘাত হানেন কুলদীপ যাদব। ৩১ বলে ১৭ রান করে আউট হন তিনি। আসালাঙ্কার উইকেট নেন কুলদীপই। ৩৫ বলে ২২ রান করে আউট হন তিনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নেওয়ার পরেও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও ভালো ছন্দে ছিলেন বাঁ হাতি স্পিনার। চার উইকেট তুলে ভারতকে জয় এনে দেন তিনি।
৯ ওভার ৩ বলে ৪৩ রান দিয়ে চার উইকেট কুলদীপের। বুমরা ও জাদেজাও দুটি করে উইকেট নেন। ৭ ওভারে ৩০ রান দেন বুমরা। জাদেজাও দারুণ বোলিং করেন। ১০ ওভারে দেন মাত্র ৩৩ রান। ৫ ওভার বল করলেও ১৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ। হার্দিকও ৫ ওভার বল করেন। ১৪ রানে ১ উইকেট নেন তিনিও। এই জয়ের ফলে ফাইনালে চলে গেল টিম ইন্ডিয়া।