অভিষেক করা রিঙ্কু সিং-এর শটেই জ্য ভারতের। ইতিহাস গড়লেন তিনি। উইনিং শট এল তাঁর ব্যাট থেকেই। ভারত পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে নবম বার এশিয়া কাপ জিতেছে। এই টুর্নামেন্টে টিম ইন্ডিয়া তৃতীয়বার পাকিস্তানকে হারিয়েছে।
ফাইনালে তিলক ভার্মা অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন, যা দীর্ঘদিন আমাদের স্মরণে থাকবে। কিন্তু ম্যাচটা রিঙ্কু সিংয়ের জন্য খুব স্পেশাল হয়ে থাকবে, এই টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে মাত্র একটি বল খেলে জয় এনে দেন। পাকিস্তানের ১৪৭ রানের জবাবে, টিম ইন্ডিয়া ২০ রানের মাথায় তিনটি ধাক্কা খেয়েছিল। তবে, তিলক ভার্মা এক প্রান্ত ধরে। রেখেছিলেন এবং সঞ্জুর সাথে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিলেন। সঞ্জুর আউট হওয়ার পর, তিলক শিবম দুবের সাথে একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। কিন্তু এক পর্যায়ে, দুই ওভারে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৭ রান।
১৯তম ওভারের শেষ বলে শিবম দুবে আউট হন। শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য ১০ রানের প্রয়োজন ছিল। ব্যাট করতে আসেন রিন্তু সিং। প্রথম বলে ২ রান নেন তিলক। দ্বিতীয় বলে ছক্কা এবং তৃতীয় বলে একটি সিঙ্গেল মারেন। এরপর ব্যাট করতে আসেন রিঙ্কু। চতুর্থ বলে চার মারেন, ভারতের জয় নিশ্চিত করেন।
প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান ১৪৬ রানে অল আউট হয়। বুমরাহ, অক্ষর এবং বরুণ প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। কুলদীপ চারটি উইকেট নেন। পাকিস্তানের হয়ে ফারহান সর্বাধিক রান করেন। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, তিলক ভার্মার অপরাজিত ৬৯ রানের সুবাদে ভারত ম্যাচটি জিতে নেয়।
ভারত (প্লেয়িং ইলেভেন): অভিষেক শর্মা, শুভমান গিল, সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), তিলক ভার্মা, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), শিবম দুবে, রিংকু সিং, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, জসপ্রিত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী।
পাকিস্তান (প্লেয়িং ইলেভেন): শহীদ আফ্রিদি, ফখর জামান, সাইম আইয়ুব, সালমান আগা (অধিনায়ক), হোসেন তালাত, মহম্মদ হ্যারিস (উইকেটরক্ষক), মহম্মদ নওয়াজ, ফাহিম আশরাফ, শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফ, আবরার আহমেদ।