কান্তিরাভার আট বছর আগের রাত ফিরল শনিবারের গোয়ায়। সেদিন ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতে পারত মোহনবাগান (Mohun Bagan)। সেটাই হয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। তবে আজ শুধু ড্র করলে হত না। ফাইনাল (ISL Final) তাই জিততেই হত। ১২০ মিনিট ম্যাচ ২-২ গোলে অমিমাংসিত থাকলেও টাইব্রেকারে জয় তুলে নিল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। ফাইনালে শুরুতেই হোঁচট খেতে হয় বেঙ্গালুরুকে (Bengaluru FC)। দারুণ ছন্দে থাকা শিবাশক্তির নাকে চোট লাগে। হাড় ভেঙে রক্ত পড়তে দেখা যায়। মাঠে নামেন সুনীল। তাতেও শেষ রক্ষা হল না।
দারুণ লড়াইয়ে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে দুটি শটে গোল করতে না পারায় ভুগতে হল বেঙ্গালুরুকে। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে নাটক ছিল পরতে পরতে। টাইব্রেকারের নাটক ছিল পরতে পরতে। যদিও কোনও পেনাল্টি মিস করেননি মোহনবাগান ফুটবলাররা। ম্যাচের পর শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
টাইব্রেকারে যা হল
অ্যালান কোস্টার শট ডানদিকে গোলে আছড়ে পড়ল
পেত্রাতোস শট গোলের বাঁদিকে চলে যায়। বুঝতেই পারেননি গুরপ্রীত।
রয় কৃষ্ণা ডানদিকে মেরে গোল করেন। উল্টো দিকে ঝাঁপান বিশাল
লিস্টন কোলাসো বাঁ দিক ঘেষে করা শট গোলে। ডানদিকে ঝাঁপান গুরপ্রীত
ব্রুনো রামিরেসের শট সেভ করেন বিশাল। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ সেভ এগিয়ে দিল মোহনবাগানকে।
কিয়ান শট বাঁ দিকে শট করেন। সেভ করতে পারেননি গুরপ্রীত।
বাঁ দিকে শট করে গোল সুনীলের। বুঝতে পারেননি বিশাল।
মনবীরের ডানদিকের শট গোলে চলে যায়।
পাবলো পেরেজের শট বাইরে যাওয়ায় সঙ্গে সঙ্গেই জয়ের আনন্দে মেতে ওঠেন মোহনবাগান ফুটবলাররা।
বেঙ্গালুরুর প্রথম একাদশ: গুরপ্রীত, জোভানোভিচ, সন্দেশ, প্রবীর, রোশন, ব্রুনো, সুরেশ, হাভি, রোহিত, কৃষ্ণ এবং শিবশক্তি।
এটিকে মোহনবাগানের প্রথম একাদশ: বিশাল, আশিস, প্রীতম, স্লাভকো, শুভাশিস, কার্ল, গ্লেন, বুমোস, আশিক, মনবীর এবং পেত্রাতোস।