Salil Ankola New Selector: বর্তমানে ভারতীয় দল হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ব্যাস্ত রয়েছে। এই মুহূর্তে ভারত-শ্রীলংকা টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ ব্যবধানে সমতা বিরাজ করছে। আজ সিরিজের শেষ তথা তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে মাঠে নামতে টিম ইন্ডিয়া। চলমানরত এই টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ভারতের প্রথম শ্রেণীর একাধিক ক্রিকেটারকে বিশ্রামে পাঠিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। যে তালিকায় রয়েছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, কে এল রাহুল, ভুবনেশ্বর কুমার সহ আরও একাধিক ক্রিকেটার। তবে বিশ্রাম থেকে এবার জাতীয় দলে প্রত্যবর্তন করতে বিরাট কোহলিদের অনুমতি নিতে হবে নতুন নির্বাচকদের। এর মধ্যে অনেককে মানুষ ভুলেই গিয়েছেন। তালিকায় চমক যদি হয় চেতন শর্মার প্রত্যাবর্তন, তেমনই একসময়ের সাড়া জাগানো বোলার কিন্তু ভাল বল করেও সুযোগ না পাওয়া সুব্রত ব্যানার্জির নির্বাচক হিসেবে ফেরা। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক রান করা শ্রীধরণ শরথকেও কোনও টেস্ট না খেলা সত্ত্বেও সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
হ্যাঁ, শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঘটনাটি ঘটেছে এমনি। ভারতীয় জাতীয় দলে খেলার জন্য চরম ফ্লপ ক্রিকেটারের অনুমতি নিতে হবে রোহিত শর্মাদের। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নব নির্বাচিত দল নির্বাচক কমিটিতে এমন একজন ক্রিকেটারকে নিয়োগ করা হয়েছে যার নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নেই কোনো ধরনের উল্লেখযোগ্য রেকর্ড। যিনি তার পুরো ক্যারিয়ারে ১টি মাত্র টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। পাশাপাশি ২০টি ওডিআই ম্যাচ খেলে নিয়েছেন মাত্র ১৩ উইকেট।
ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির কাছে প্রাপ্ত প্রায় ৬০০টি আবেদনের মধ্যে ৫ জন অভিজ্ঞকে গুরুত্বপূর্ণ এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি নাম অবাক করেছে বহু ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ সহ ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের। আর সেই নামটি হল সলিল আনকোলা। আপনাদের জানিয়ে রাখি, মাত্র ২৮ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন সলিল। এরপর বহু বছর টিভি ও চলচ্চিত্র জগতে কাজ করেছেন তিনি। তবে ক্রিকেটের মত চলচ্চিত্র জগতেও চরম ব্যর্থ হন তিনি। তবে বেশ কিছু নামী তারকার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেন তিনি।
সলিল অশোক আঙ্কোলা মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৯ সালে শচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে তাঁর একই সঙ্গে টেস্ট অভিষেক হয়। ওই একটিমাত্র টেস্ট খেলার পর তিনি চোট পেয়ে দল থেকে ছিটকে যান। পরে ১৯৯১ সালে তিনি ওয়ানডে দলে ফেরেন। তিনি কেরিয়ারে ১৯৯৭ সালের মধ্যে একটিমাত্র টেস্ট এবং ২০টি ওয়ানডেতে অংশ নিয়েছেন তিনি। দলে তিনি মূলত ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার ছিলেন। মহারাষ্ট্রের পক্ষে তিনি নিয়মিতভাবে বোলিং সূচনা করতেন। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে দলে থাকলেও মাত্র একটি ম্যাচ খেলেন। পরে ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ ওয়ানডে খেলেন। ২৮ বছর বয়সে বাম পায়ে শিন বোনে (অস্টিয়ড অস্টিওমা) টিউমারের আকস্মিক বৃদ্ধিতে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নিতে বাধ্য হন তিনি। এ কারণে তিনি ২ বছর চলাফেরা করতে পারেননি। তারপর থেকেই বেশ কিছুসংখ্যক ভারতীয় সোপ অপেরাসহ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণ করেন।