সিনিয়র দল একেবারেই ফর্মে নেই। তবে জুনিয়র দলের হাত ধরেই প্রথম ট্রফি আসতে চলেছে ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal)। ২০২৪-এর কলকাতা লিগ (CFL2024) জেতার খুব কাছাকাছি চলে এল লাল-হলুদ ক্লাব। পুজোর পরে ইস্টবেঙ্গলের বাকি ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও, তার আগেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দোরগোড়ায় ইস্টবেঙ্গল।
কীভাবে চ্যাম্পিয়ন হল ইস্টবেঙ্গল?
ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচে নিয়ম না মানায় পয়েন্ট কাটা গিয়েছে মহমেডান স্পোর্টিং-এর (Mohammedan Sporting)। আর সেই পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে বিনো জর্জের (Bino George) দলকে। এতেই ট্রফির কাছে এসেছে ইস্টবেঙ্গল। পাশাপাশি ভবানীপুরও (Bhawanipore) ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচে দল নামাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। ফলে ইস্টবেঙ্গলের চ্যাম্পিয়ন হওয়া সময়ের অপেক্ষা তা বলাই যায়। ২০১৭ সালের পরে লিগের ট্রফি ফের ঢুকবে লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ক্লাবে। ১৪ অক্টোবর ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জিতলেও ডায়মন্ড হারবার ছুঁতে পারবে না বিনো জর্জের টিমের অর্জিত পয়েন্টকে।
ক্ষুব্ধ মোহনবাগান-মহমেডান
আইএফএর এই সিদ্ধান্তে চরম ক্ষুব্ধ মোহনবাগান থেকে ডায়মন্ড হারবার এফসি। মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্তর স্পষ্ট কথা, ‘আইএফএ ইস্টবেঙ্গলকে লিগ পাইয়ে দেওয়ার জন্যই টুর্নামেন্টটা করে। আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছি, এ বার আইএফএ শিল্ডে আমরা খেলব না।’ মহামেডানের সচিব ইস্তিয়াক আহমেদও বেজায় বিরক্ত। তিনি বলে দিলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধি বেলাল আহমেদ মিটিংয়ে ছিলেন। তিনি কোনও কাগজে সই করেননি। তা হলে আইএফএ কী ভাবে ইস্টবেঙ্গলকে তিন পয়েন্ট দিয়ে দিতে পারে? আমরা চিঠি দিয়ে আবারও জানতে চাইছি।’ শুধু তাই নয়, ক্ষুব্ধ আভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবার এফসিও। ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গোটা বিষয়টা জানান হয়েছে। তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে। প্রয়োজনে আইএফএর সমস্ত টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের সরিয়েও নিতে পারে তারা।
আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্তর বক্তব্য, ‘মহামেডান কয়েক মিনিটের জন্য ভূমিপুত্রকে খেলায়নি, এটা ঠিক। তাই নিয়ম ভাঙায় তিন পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলকেই দেওয়া হচ্ছে।’