Representative Image আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালীন পাকিস্তানে জঙ্গি হামলার সতর্কতা। পাকিস্তান ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর তরফে এই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্স পাকিস্তানে খেলা দেখতে আসা বিদেশিদের অপরহণ করে মুক্তিপণের দাবি করতে পারে- এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই দেশের ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর তরফে আরও জানানো হয়েছে, চিনা ও সৌদি আরবের বাসিন্দাদের টার্গেট করতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা।
এই নিয়ে বিভিন্ন দেশকে সতর্ক করা হয়েছে। পাকিস্তান প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। এমনিতেই সেই দেশে প্রায় তিন দশক পরে আইসিসির ইভেন্ট বসেছে। যা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে পাকিস্তান প্রশাসনের তরফে।
পাকিস্তানে আগেও জঙ্গি হামলা হয়েছে। টার্গেট হতে হয়েছিল বিদেশি নাগরিকদের। যেমন, ২০২৪ সালে কয়েকজন চিনা নাগরিকের উপর হামলা হয়। আবার ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের উপর হামলার মতো ঘটনা ঘটে। তাতে জখম হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন।
যদিও ভারতীয় দল আইসিসি-র টুর্নামেন্টে পাকিস্তানে গিয়ে খেলছে না। ভারতের সব ম্যাচ হচ্ছে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। নিরাপত্তার কারণেই ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তানে যায়নি। রোহিত শর্মার দল হাইব্রিড মডেলে খেলছে।
এই মুহূর্তে পাকিস্তানে রয়েছে, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কার মতো বিদেশি দল। তারই মধ্যে গোয়েন্দারা মনে করছে, ইসলামিক স্টেটের শাখা খোরাসান প্রভিন্স বিদেশিদের উপর হামলা চালাতে পারে। এই জঙ্গি সংগঠনটি দক্ষিণ-মধ্য এশিয়ায় সক্রিয়। বিশেষ করে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে।
গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের একাধিক শহরের উপকণ্ঠে যেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই, যেখানে শুধুমাত্র রিকসা ও মোটর সাইকেল চলে সেখানে ঘর ভাড়া নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে জঙ্গিরা।
প্রসঙ্গত, নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তানে যায়নি ভারত। সীমান্ত বিরোধ থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ইন্ধন, প্রতিবেশী দেশের দিকে বারবার আঙুল উঠেছে। শেষ পর্যন্ত কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছে ভারত। দুবাইয়ে খেলছে রোহিত শর্মার। তারই মধ্যে সামনে এল সন্ত্রাসবাদী হামলার সম্ভাবনার কথা।