উয়াড়ির বিরুদ্ধে দারুণ জয় পেল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। কলকাতা লিগে (Kolkata League) প্রিমিয়ার ডিভিশনে ৫-০ গোলে জিতল বিনো জর্জের ছেলেরা। প্রথমার্ধে ছন্নছাড়া ফুটবল খেললেও সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।
প্রথমার্ধে এগিয়ে যেতে পারত উয়াড়িও। তবে পেনাল্টি মিস করেন লালনসাঙ্গা। মাঝ বরাবর শট করতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে গোলরক্ষক আদিত্য পাত্র ঝাঁপিয়ে বল বাঁচান। ২৬ মিনিটে বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করে বসেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার। তবে সেখান থেকে বিপদে পড়তে হয়নি লাল-হলুদকে। এরপর একের পর এক শট করতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। ৩০ মিনিটে সঞ্জীব ঘোষের শট বারে লাগে। তার আগে গুরনাজের শটও বারে লাগে। প্রথমার্ধে বারেবারে আক্রমণে উঠে এলেও গোল করতে পারছিল না লাল-হলুদ। উৎকণ্ঠায় ছিলেন সমর্থকরা। প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে কি ম্যাচ জিততে পারবে না ইস্টবেঙ্গল?
আক্রমণের ঝাঁজ বেশি থাকলেও কাজের কাজ হচ্ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে যদিও দারুণ গোল করেন দীপ সাহা। ৫২ মিনিটে গুনরাজের ক্রস থেকে সহজেই গ্রাউন্ডার শটে গোল করে যান দীপ। ৬৬ মিনিটে অভিষেক কুঞ্জম সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। একা গোলরক্ষককে পেয়েও জালে বল ঠেলতে পারেননি তিনি। যদিও পরে ইনজুরি টাইমে দুর্দান্ত শটে গোল করেন অভিষেক।
৭০ মিনিটে তন্ময় দাস একক দক্ষতায় ব্যবধান বাড়ান। তিন ফুটবলারকে একসঙ্গে কাটিয়ে জালে বল ঠেলে দেন তন্ময়। প্রথমার্ধে উয়াড়ি অনেকটাই ভালো ফুটবল খেলছিল। মনে করা হচ্ছিল, এমন ডিফেন্স ভেঙে গোল করা সহজ হবে না লাল-হলুদ ফুটবলারদের জন্য। ইনজুরি টাইমের আগে অবধি ফল ২-০-ই ছিল। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরে ফের জ্বলে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। তিনটি গোল করে ৫-০ গোলে জয় পায় ইস্টবেঙ্গল। ইনজুরি টাইমে প্রথম গোল করেন অভিষেক কুঞ্জম, দ্বিতীয় গোল করেন আমান সিকে। ফাঁকায় বল পেয়ে বাঁদিকে টোকা মেরে গোল করেন তিনি। শেষ গোলটাও করেন অভিষেক। দারুণ ফুটবল খেলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা।