ইনভেস্টর নিয়ে নিশ্চিন্ত ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) সমর্থকরা। তবে এবার তাদের চিন্তা দল গঠন এবং কোচ নিয়ে। কোচ নিয়েও এর আগে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। বিশেষত, গত মরশুমে। তার কারণ, এক মরশুমে তিনবার কোচ বদল হয়েছে। মাঠেও তার প্রভাব পড়েছে। তবে এবার দল গঠনের দায়িত্বে ক্লাব কর্তারা। তারা চাইছেন ভারতে কোচিং করান কোনও কোচকে নিয়ে আসতে। তালিকায় রয়েছেন এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) প্রাক্তন কোচ আন্তনিও লোপেজ হাবাস, ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। তালিকায় রয়েছেন মুম্বই সিটি এফসি-র প্রাক্তন কোচ জর্জ কস্টাও।
মরশুমের শুরু থেকে ম্যানুয়েল দিয়াজ দায়িত্ব নিলেও মাঝপথে দলকে ছেড়ে চলে যান। এরপর কিছুদিন দায়িত্ব সামলান তাঁর সহকারী কোচ ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার রেনেডি সিং। এর মধ্যেই শ্রী সিমেন্ট কর্তারা কোচ করে নিয়ে আসেন মারিও রিভেরাকে। মারিও এর আগেও ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ ও কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবুও সাফল্য আসেনি।
আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যেই হয়ত কোচের নাম ঘোষণা করে দেবেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। ভারতে কোচিং করান কোনও কোচকেই নিয়ে আসতে চাইছেন তাঁরা। হাবাস ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে বিশেষত আইএসএল-এর সঙ্গে বিশেষ ভাবে পরিচিত। প্রথম বছর থেকেই তিনি কোচিং করাচ্ছেন। আর সেই বছরেই এটিকে-কে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। কলকাতা ছাড়াও পুনে সিটি এফসিতেও কোচিং করিয়েছেন তিনি। ফলে, অভিজ্ঞতা নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই।
স্টিফেন দুই বার ভারতীয় দলের কোচ হয়েছেন। বাইচুং ভুটিয়া, সুনীল ছেত্রীদের প্রাক্তন হেডস্যার দারুণ সফল জাতীয় দলের কোচ হিসেবে। তাঁর দেখান পথেই কোচিং করতে ভালবাসেন রেনেডি সিংরা। ভারতীয় ফুটবলে এই ইংরেজ কোচের অবদান অনেক। তাই তাঁকেও ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে দেখা যেতে পারে।
মুম্বই সিটি এফসি-র হয়ে কোচিং করান জর্জ কস্টা ২০১৮ সালে দলকে সেমিফাইনালে তুললেও চ্যাম্পিয়ন করাতে পারেননি। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে হেরে যায় মুম্বই। তাঁকেও ফের একবার ইস্টবেঙ্গল কোচের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে।
কলকাতা লিগের জন্য ইস্টবেঙ্গল দলের দায়িত্ব নিতে পারেন বাংলাকে সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে নিয়ে যাওয়া রঞ্জন ভট্টাচার্য।