গতকাল নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কাছে ৩-২ গোলে হেরে ছন্দপতন ইস্টবেঙ্গলের। প্রথম থেকেই গোল হজম করে চাপে পড়ে যায় কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। নবাগত ফেলিসিও ব্রাউন গোল করলেও শেষমেশ নর্থইস্টের কাছে ৩-২ গোলে হারে লাল-হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচ হেরে লাল-হলুদ কোচের মুখে শোনা গেল ক্লেইটন-নন্দাকুমাদের ব্যর্থতার কথা।
ডার্বিতে যে দল নামিয়েছিলেন কুয়াদ্রাত, নর্থইস্টের বিরুদ্ধে একই দল নামান তিনি। তবুও ডার্বির মতন লড়াই দিতে পারেননি ক্লেইটন সিলভা, নন্দকুমাররা। আর দলের হারে অখুশি ইস্টবেঙ্গল কোচ। ম্যাচ শেষে সেকথা জানাতে ভুললেন না তিনি। ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে কুয়াদ্রাত বলেন, 'আমরা ডার্বির দলই নামিয়েছিলাম। কারণ, এই ফুটবলারেরাই সব থেকে বেশিক্ষণ মাঠে খেলেছে। তারপরেও শুরুতে আমরা জোড়া গোল খেয়েছি। দুটোই রক্ষণের ভুলে হয়েছে। এভাবে গোল খাওয়া আমাদের উচিত হয়নি। আমার রাগ কমছে না। ভেবেছিলাম, এই ধরনের ভুল করব না। কিন্তু মাঠে নেমে সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হয় না। কিন্তু যেভাবে গোল দুটো খেয়েছি সেটা মেনে নিতে পারছি না।'
তবে ইস্টবেঙ্গল কোচের বিশ্বাস দল আবার ছন্দে ফিরবে। তিনি আরও বলেন, 'দুটো গোল খাওয়ার পরেও আমার বিশ্বাস ছিল যে আমরা খেলায় ফিরব। গোল করব। করেওছিলাম। কিন্তু তারপরেই আবার গোল খেয়ে গেলাম। দুটো গোল থেকে ফিরতে পারতাম। কিন্তু তিন নম্বর গোলটাই আমাদের হারিয়ে দিল।'
এদিকে গতকাল নর্থইস্টের বিরুদ্ধে দুই নতুন বিদেশি, ফেলিসিও এবং ভিক্টর ভাসকোয়েজকে নামান কুয়াদ্রাত। মাঠে নেমে গোল করেন ফেলিসিও। দুই নতুন বিদেশির খেলা কেমন লাগলো? জবাবে কুয়াদ্রাত বলেন, 'ভিক্টর আর ফেলিসিওকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাঠে নামাতে চেয়েছিলাম। তবে এটাও দেখতে হত যে ওদের যেন চোট না লাগে। সেই কারণেই শেষ দিকে নামিয়েছি। ফেলিসিও গোল করেছে। ভিক্টরও ভাল খেলেছে। ওদের খেলায় আমি খুশি। আশা করছি দ্রুত দলের সঙ্গে ওরা মানিয়ে নেবে।'