বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরে এএফসি হাউজে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের (AFC Challenge Cup) গ্রুপের লটারি অনুষ্ঠিত হয়। গ্রুপ-এতে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) পাশাপাশি রয়েছে লেবাননের নাজমেহ এফসি (Najmeh FC), বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস (Basundhara Kings) ও ভুটানের পারো এফসি (Paro FC)। সব ক'টি ম্যাচই ইস্টবেঙ্গলকে খেলতে হবে ভুটানের রাজধানি থিম্পুতে (Thimpu) গিয়ে। কতটা কঠিন হতে পারে ইস্টবেঙ্গলের এই টুর্নামেন্ট? দেখে নিন লাল-হলুদের এই তিন প্রতিপক্ষের শক্তি ও দুর্বলতা
নাজমেহ এফসি-র শক্তি- নেজমেহ এসসি, ২০০৫ সালে এএফসি কাপের রানার আপ, ২০২৩-২৪ লেবানিজ প্রিমিয়ার লিগ জেতার পর এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। ইস্টবেঙ্গল এর আগে ২০১০ এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে নেজমেহের মুখোমুখি হয়েছিল, ঘরের মাঠে ০-৩ গোলে ও অ্যাওয়ে ম্যাচে ০-৪ গোলে হেরেছিল। লেবাননের এই দলের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হাসান কৌরানি নাজমেহ দলের অন্যতম ভরসা। পাশাপাশি রাইট উইঙ্গার মেহেদি মেহেদি জৈন ও গোলকিপার আলি সাহেবা এই দলের অন্যতম ভরসা।
দুর্বলতা- দলের সকলেই লেবাননের। বিদেশি কোনও ফুটবলার সই করায়নি এই ক্লাব। ফিফা র্যাঙ্কিং-এ ১১৬ নম্বরে লেবানন। ভারতের র্যাঙ্কিং ১২৪। তবে ইস্টবেঙ্গল দলে মাদিয়া তালাল, দিমিত্রিয়াস ডিমানটাকোস, সল ক্রেসপোর মতো তারকা ফুটবলার রয়েছে। ফলে এই ম্যাচ জিততে খুব সমস্যা হওয়র কথা নয় ইস্টবংলের।
বসুন্ধরা কিংস-র শক্তি- বাংলাদেশের এই ক্লাব সে দেশের চ্যাম্পিয়ন। ২০২৩-২৪ মরসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হিসাবে এই টুর্নামেন্টে স্লট বুক করেছে। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার মিগুয়েল ফেরেরা, লেফট উইঙ্গার রবসন রবিনহো, রাকিব হোসেনরা ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সে ভয় ধরাতে পারেন। তাই সতর্ক থাকতে হবে লাল-হলুদ ডিফেন্সকে।
দুর্বলতা- বসুন্ধরা কিংস বড় দল হলেও অস্কার ব্রুজো দায়িত্ব ছাড়ার পর এই দল কেমন খেলে সেদিকে নজর থাকবে সকলের। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের অ্যাটাক ও ডিফেন্স এ মরসুমে বেশ শক্তিশালী। ফলে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হতে পারে।
পারো এফসি-র শক্তি- পারো এফসি, ২০২৩ সালের ভুটান প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এই টুর্নামেন্ট খেলতে নামবে। নেপালের চার্চ বয়েজ ইউনাইটেডকে বাছাই পর্বে হারিয়ে ক্লাব প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে খেলতে নামবে। রাজস্থান ইউনাটেডে খেলে যাওয়া স্ট্রাইকার রিচার্ড গ্যাডজে সমস্যা তৈরি করতে পারেন।
দুর্বলতা- তবে পারো এফসি দল যে খুব শক্তিশালী তেমনটা বলা যাবে না। কারণ দলে খুব বড় মাপের তারকা নেই। তবুও তাদের ঘরের মাঠে ম্যাচ হওয়ায় কিছুটা হলেও সুবিধা পাবে ভুটানের এই ক্লাব।