অজস্র সুযোগ মিসের খেসারত দিল লাল-হলুদ বাহিনী। মিস বললেও কম বলা হবে, পড়ে পাওয়া পেনাল্টি মিস করে আরও গাড্ডায় চলে গেল দল। সেই সঙ্গে চলতি আইএসএলে টানা চারটি ম্যাচ হারল ইস্টবেঙ্গল। স্কোরলাইন দেখাচ্ছে জামশেদপুরের পক্ষে ২-০। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে ৬-২ হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। এত গোল মিস মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু মাঠে নেমে গোল না করতে পারলে হেরে আসতে হবেই। সোওল ক্রেসপো, ক্লেটন সিলভা, মাদি তালালরা গোল মিসের প্রদর্শনী করলেন। আর নিজেদেরই প্রাক্তন কোচ খালিদ জামিলের কাছে পরাস্ত হল ইস্টবেঙ্গল।
কার্লোস কুয়াদ্রাতকে সরিয়ে বিনো জর্জকে কোচ করে আনার পর খেলা কিছুটা বদলালেও ফল বদলাতে পারল না তারা। আসলে এমন সুযোগ মিস করলে কোচ কীই বা করতে পারে। খেলার মিনিট দশ পরেই ইস্টবেঙ্গলের কাছে সুযোগ এসেছিল। বাইরে মারেন মাদি তালাল। এরপর একের পর এক সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। সুযোগ অবশ্য জামশেদপুরও বেশ কয়েকটা মিস করে। তবে ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় তা কিছুই নয়।
খেলার ২১ মিনিটে জাপানি ফুটবলার রেই তাচিকাওয়ার গোলে এগিয়ে যায় জামশেদপুর। বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে জালে জড়াতে ভুল হয়নি। লাল-হলুদ রক্ষক দেবজিত কিছুই করতে পারেননি। এরপর অবশ্য় ইস্টবেঙ্গল খেলা ধরার চেষ্টা করে। পাশাপাশি একের পর এক সুযোগ তৈরি করে। মনে হচ্ছিল, গোল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু একটাও গোল করতে না পারার বিস্ময় সমর্থকদের হতাশ করবে। ক্লেইটন একাধিক সহজ-কঠিন সুযোগ নষ্ট করলেন।
বিরতির পর গোল শোধ করার মরিয়া চেষ্টা করে ইস্টবেঙ্গল। আচমকা গতিও বাড়িয়ে ফেলে তারা। পরপর গোল করার সুযোগ তৈরিও করে তারা। কিন্তু গোলচিত্র গোটা অর্ধে বদলাতে পারেনি। এরপর ক্লেইটনকে বক্সে ফাউল করেন জাভি হার্নান্দেজ। পেনাল্টিও পায় ইস্টবেঙ্গল। তাতেও গোল করতে পারেনি তারা। এরপর খেই হারিয়ে ফেলে তারা।