দলবদলের বাজারে একেবারে ঝোড়ো গতিতে এগোচ্ছে লাল হলুদ। তাঁদের নজরে কেরালা ব্লাস্টার্স (Kerala Blasters) এবং মোহনবাগান (Mohun Bagan)। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, দুই দলের দুই প্রতিভাবান ফুটবলারকে ছিনিয়ে নিতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)।
ইতিমধ্যেই কোচের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতকে (Carles Cuadrat) চূড়ান্ত করে ফেলার পরেই, এবার শক্তিশালী দল গড়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে লাল হলুদ টিম ম্যানেজমন্ট। শোনা যাচ্ছে, কেরালা ব্লাস্টার্সের ডিফেন্ডার নিশু কুমারকে (Nishu Kumar) দলে নিতে চাইছেন তাঁরা। কেরলের জার্সি গায়ে নিশু খেলেছেন ১৭টি ম্যাচ। মাত্র ২৫ বছর বয়সী এই রক্ষণভাগের ফুটবলারটির পাসিং অ্যাকিউরেসি ৭০.৯%। নিশু কুমারের উত্থান হয় সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (All India Football Federation) এলিট প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকে। তারপর তিনি ২০১৫ সালে যোগ দেন বেঙ্গালুরু এফসিতে (Bengaluru FC)। শুধু তাই নয়, অনূর্ধ্ব-২০ ভারতের জাতীয় ফুটবল দলেও (U-20 Indian Football Team) ডাক পান নিশু কুমার। বেঙ্গালুরু এফসির জার্সি গায়ে তাঁর প্রথম এএফসি কাপের (AFC Cup) ম্যাচ মাজিয়া এফসির (Maziya FC) বিরুদ্ধে।
বেঙ্গালুরু এফসির পর তিনি যোগ দেন কেরালা ব্লাস্টার্সে। কেরলের জার্সি গায়ে প্রথম মাঠে নামেন নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসির (North East United FC) বিরুদ্ধে। খেলেছেন ডুরান্ড কাপেও (Durand Cup)। সদ্য শেষ হওয়া সুপার কাপে (Super Cup), রাউন্ডগ্লাস পঞ্জাব এফসির (Round Glass Punjab FC) বিরুদ্ধে এই মরশুমে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম গোলটি করেন নিশু কুমার। সেই ম্যাচে দ্বিতীয় গোলটিও তাঁর পা থেকেই আসে। লেফট ব্যাক এবং রাইট ব্যাক, দুটি পজিশনেই খেলতে সিদ্ধহস্ত তিনি। সেইসঙ্গে, তাঁর দুটি পাই বেশ ভালো চলে। যদিও তাঁকে নিতে গেলে, বড় অঙ্কের অর্থ খরচ হতে পারে বলেই শোনা যাচ্ছে। এহেন একজন ডায়নামিক ফুটবলারকেই, ইস্টবেঙ্গল দলে নিতে পারে বলে ময়দানে জোর গুঞ্জন।
অন্যদিকে, ডেভেলপমেন্ট লিগে (Development League) মোহনবাগানের হয়ে দুর্দান্ত খেলা নিংগোমবাম এংসন সিংকে (Ningombam Engson Singh) ইস্টবেঙ্গল সই করাতে বলে পারে বলে সূত্রের খবর। সবুজ মেরুনের এংসন এই গোটা প্রতিযোগিতায় অসাধারণ ফুটবল উপহার দিয়েছেন। গোল পেয়েছেন সাইয়ের (SAI) বিরুদ্ধে। মহামেডান স্পোর্টিং-এর (Mohammedan Sporting Club) বিরুদ্ধেও গোল পান এংসন। এমনকি ওড়িশা এফসির (Odisha FC) বিরুদ্ধেও গোল পান তিনি। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, গোটা প্রতিযোগিতায় তাঁর নজরকাড়া পারফরম্যান্স। শোনা যাচ্ছে, সবুজ মেরুনের এই জুনিয়র ফুটবলারকে দলে নিতে আগ্রহী এবার লাল হলুদ।
মণিপুরের এই ২০ বছর বয়সী ফুটবলারটির বাঁ পাটি বেশ ভালো চলে। রাইট উইং এবং লেফট উইং, দুটি দিকেই বেশ সপ্রতিভ এংসন। মূলত, এটিকে ইউথ সিস্টেম (ATK Youth System) থেকেই উঠে এসেছেন এই পাহাড়ি ফুটবলারটি। এখন দেখার বিষয় এটিই যে, শেষপর্যন্ত এই দুই ফুটবলারকে লাল হলুদ তাঁদের দলে নিতে পারে কিনা।