শক্তি বাড়াচ্ছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। রবিবারের ফাইন্যালের আগে লাল-হলুদে যোগ দিয়ে দিলেন দুই তারকা। পাশাপাশি সাসপেনশন কাটিয়ে দলে ফিরে যাবেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার বোরহা হেরেরা। ফলে ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে তিন তারকা যোগ দিচ্ছেন দলে।
আরও শক্তিশালী হবে দুই বিভাগ
লালচুঙনুঙ্গা দলে এসে যাওয়ায় ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স আরও শক্তিশালী হবে। এমনিতেই দুই ডিফেন্ডার পর্দ ও হিজাজি মেহের দারুণ ছন্দে। দলের প্রয়োজনে নিয়মিত গোলও করছেন হিজাজি। সেট পিস এলেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন এই স্টপার। এর সঙ্গে নুঙ্গা যোগ দিলে মাঝেমধ্যে গোল খাওয়ার যে প্রবনতা দেখা যাচ্ছিল সেটাও কিছুটা হলেও কেটে যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বোরহা ও নাওরেম মহেশ সিং এসে যাওয়ায় দলের আক্রমণও দারুণ শক্তিশালী হল বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় দলের হয়ে এএফসি এশিয়ান কাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে দারুণ একটা আক্রমণ তুলে এনেছিলেন মহেশ। যদিও সেখান থেকে গোল আসেনি। তবে এই ফুটবলরের দক্ষতার জানান পাওয়া গিয়েছিল। গত মরসুম থেকেই লাল-হলুদ জার্সিতে দারুণ খেলছেন মহেশ। তবে প্রশ্ন হল ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লস কি চাইবেন তাঁর উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চাইবেন? এই দল নিয়েই তিনি ডার্বি যেমন জিতেছেন, ঠিক তেমনিই দলকে ফাইনালে তুলেছেন। গোটা টুর্নামেন্ট ভাল খেলেছে। সেখানে শেষ ম্যাচে এসে কি পরিবর্তন হবে?
দীর্ঘদিন ট্রফি না পাওয়ায় আর লাগাতার খারাপ ফলের জেরে বারেবারে কটাক্ষের সামনে পড়তে হয়েছে সমর্থকদের। তবে এই মরসুমের শুরু থেকেই আশার আলো দেখাচ্ছেন কোচ কুয়াদ্রাত ও তাঁর ছেলেরা প্রথমে ডুরান্ড কাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে হারিয়ে দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল তা এখনও চলছে। ধারে ভারে অনেক শক্তিশালী মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডুরান্ড ফাইনাল হারতে হলেও আইএসএল-এ যত সময় গড়িয়েছে ততই শক্তি বেড়েছে মশাল বাহিনীর।
প্রথম পর্বের পর সুপার কাপেও দারুণ ছন্দে ইস্টবেঙ্গল। ছয় বিদেশীকে দলে পেয়ে আরও উজ্জ্বল ইস্টবেঙ্গল। গ্ৰুপ পর্বে হায়দরাবাদ ও শ্রীনিধি ডেকান এফসিকে হারিয়ে দেওয়ার পর ডার্বি জিতে সেমিফাইনালে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল। খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসিকে ২গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে তারা। এবার ফাইনাল জিতে ট্রফি খরা কাটাতে মরিয়া ফুটবলররা। সমর্থকরাও উদগ্রীব রবিবারের জন্য। সেইটা জন্যই পুরী থেকে এল খাজা।